কলকাতা ব্যুরো: আজ দুপুরে তৃণমূল ভবনে সাংগঠনিক বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা তিনটা নাগাদ এই বৈঠকে তার সঙ্গে থাকতে পারেন তৃণমূলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা। এদিকে আজই বেলা দুটো নাগাদ সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুকুল রায়ের দেখা হওয়ার কথা। হয় বাইপাসের ধারে তৃণমূল ভবনে অথবা কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মুকুল রায় যেতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।


ফলে বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারার পর রাজ্য রাজনীতিতে পরিবর্তনের জল্পনা এবার বাস্তবে কার্যকর হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। সে ক্ষেত্রে বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলের ঘরে ফেরার তালিকার প্রথম নামটাই একসময় দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড কিনা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বৈঠকে এক নেতা এক পদ নীতি কার্যকরের পাশাপাশি দলীয় ক্ষেত্রে কিছু রদবদল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। একইসঙ্গে যেভাবে বিধানসভা ভোটের পর বিজেপিতে যাওয়া কিছু নেতা ঘরে ফেরার জন্য প্রকাশ্যেই তৃণমূলের কাছে আবেদন করেছেন, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে এ দিনের বৈঠকে।


ইতিমধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ কিছু ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন দলের হেভিওয়েট নেতা ববি হাকিম। তাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। ফলে এই তালিকায় সোনালী গুহ, বসিরহাটের দীপেন্দু বিশ্বাস সহ বিভিন্ন জেলার একাধিক নেতা পুরনো দলে ফিরতে পারেন বলে খবর। যদিও নির্বাচনের পরেই মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু যেভাবে বিজেপিকে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন, তাতে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট অর্থ আছে বলে মনে করছিলেন অভিজ্ঞরা।


সেই আবহে গত কয়েক দিনের বিজেপির বৈঠকে মুকুল রায়ের উপস্থিত না থাকা, অথবা অ্যাপোলো হাসপাতালে তার অসুস্থ স্ত্রীকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখতে যাওয়ার পরে দিলীপ ঘোষের সেখানে হাজিরা বা পরের দিন প্রধানমন্ত্রী মোদির তাকে ফোন- সবমিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বড় রদবদলের আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version