কলকাতা ব্যুরো : বিরোধিতা এতই বেড়ে গেছে যে নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে সাফাই গাইতে মঞ্চে নেমে পড়তে হলো স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এমন একটা সময় যখন ভারতের করোনা রোগী দিনে প্রায় এক লাখ ছুঁই ছুঁই, অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছে আর চিন ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে। প্রধানমন্ত্রী তখন দেশবাসীকে বলছেন, নতুন এই শিক্ষানীতি দেশের ছাত্র সমাজকে একোবিংশ শতাব্দীর জন্য তৈরি করবে এবং হোলিস্টিক এডুকেশনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এমনভাবে এই শিক্ষানীতি রূপায়ণ করা হবে যাতে সিলেবাসের বোঝা কমে, খেলার ছলে পড়া হয় আর ছাত্রছাত্রীদের অনুশাসনের মধ্যে রাখা যায়। তারা যাতে ভবিষ্যতের চিন্তাশীল মানুষ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এদিকে এই শিক্ষানীতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সাফাইয়ের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল শিক্ষা সেল এবং নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি। শিক্ষা সেল থেকে জানানো হয়, তারা এই শিক্ষানীতি মানছে না। পার্লামেন্টে আলোচনা না করে যে ভাবে এটা চাপিয়ে দেওয়া হয় তার তারা বিরোধিতা করছেন। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রিয় নিয়োগী জানান, এই শিক্ষানীতি আমাদের চিরায়ত সাংবিধানিক মূল্যবোধ, যুক্তরাষ্ট্রিয় কাঠামো এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী। এখানে যে ত্রি ভাষা সূত্রের কথা বলা হয়েছে তা মানা যায় না। এবিটিএ-র দাবি, শিক্ষার কেন্দ্রিকরণ ও বেসরকারিকরন নির্ভরতা অবিলম্বে কমাতে হবে। এ কথাও বলা হয় ই-লার্নিং দেশের অতি সামান্য অংশ পাবে। এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল ডিভাইড করার প্রচেষ্টা চলছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version