কলকাতা ব্যুরো: গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার ভিকি হালদার, মিঠু হালদার, সঞ্জয় মণ্ডল, বাপি মণ্ডল, জাহির গাজি, শুভঙ্কর মণ্ডলকে এবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলো কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। আর সেখানে মা ও ছেলে মিঠু হালদার, ভিকি হালদারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললো বাকি ধৃতরা।
লালবাজার সূত্রের খবর, জেরায় ভিকির একটি কথার সঙ্গে অন্য কথার মিল পাওয়া যাচ্ছে না। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, এখনও একাধিক উত্তর লুকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সে। পাশাপাশি ধৃতদের মধ্যে বাপি মণ্ডল ও জাহির গাজি ধৃত ভিকির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পুলিশকে জানায় খুনের পরিকল্পনা না থাকা সত্ত্বেও ভিকি ও সঞ্জয় মণ্ডল, শুভঙ্কর মণ্ডল মিলে বাড়ির মালিক সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে খুন করে। পরে নিজেরাই পালিয়ে যায়।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার খুনে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। মূলত লালবাজারের গোয়েন্দারা চাইছেন ভিকি হালদারের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে তথ্য প্রমাণ জড়ো করতে। পাশাপাশি ভিকির বিরুদ্ধে একাধিক সাক্ষ্য জোগাড়ে চেষ্টাও চালাচ্ছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করে তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চান লালবাজারের গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাকুলিয়া রোডের একটি বাড়িতে কর্পোরেট সংস্থার এক কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দু’জনের গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনায় গড়িয়াহাট থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নামে। প্রথমে ভিকির মা মিঠু হালদারকে জেরা করে আরও দুই অভিযুক্ত জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।