কলকাতা ব্যুরো: আবার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ। এবার বীরভূমের মল্লারপুর থানায় এক নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, একটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় ১৫ বছরের ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যেহেতু জুভেনাইল আইন অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাই তাকে রাতে থানায় ডিউটি অফিসারের পাশের চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।ভোর রাতে বাথরুম যাওয়ার নাম করে সে শৌচাগারে ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ সেখান থেকে না বেরোনোয় শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে দেখে, বাথরুমের ভিতরে গলায় গামছা জড়িয়ে ওই কিশোর ঝুলে পড়েছে। পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেছেন, যেহেতু পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নাবালকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তাই আইন মতই তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ মামলা দায়ের করে বিজেপি। সেই ঘটনায় ওই মৃতদেহের তৃতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক বিজেপি কর্মীর হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বিতীয়বার দেওয়া ময়নাতদান্তের নির্দেশ এখনও ঝুলে রয়েছে।আইনজীবীদের বক্তব্য, মূলত হেফাজতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে যে আইনি নির্দেশ রয়েছে ময়না তদন্তের ক্ষেত্রে, তা তে ইদানিং কোনো-না-কোনোভাবে ত্রুটি ধরা পড়ছে। যার জেরেই ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।