কলকাতা ব্যুরো: রাজ্য মন্ত্রিসভায় আবারও করোনার থাবা। এবার আক্রান্ত দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মৃদু উপসর্গ থাকায় আপাতত হোম আইসোলেশনেই রয়েছেন তিনি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দমকল মন্ত্রীর শরীরে হানা দিল ভাইরাস। এদিকে, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও করোনা আক্রান্ত। 

বেশ কয়েকদিন ধরে করোনার নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল সুজিত বসুর শরীরে। তাতেই সন্দেহ হয়। আরটি পিসিআর টেস্ট করান মন্ত্রী। শুক্রবার টেস্টের রিপোর্ট আসে। তাতেই জানা যায়, মন্ত্রী সুজিত বসুর শরীরে ফের থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। আপাতত মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাঁর। তাই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। এর আগে ২০২০ সালেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। মন্ত্রীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আক্রান্ত কিনা, তা জানতে শনিবার তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে। 

প্রসঙ্গত, এই অতিমারীর মধ্যেও শ্রী ভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে দুর্গাপুজোয় বুর্জ খলিফা তৈরি করে মানুষকে করোনা আক্রান্ত করার পাশাপাশি গত ২৫-৩১ ডিসেম্বর (বর্ষবরণ উৎসব) নিজের এলাকায় গানের জলসা করেছেন সুজিত বসু। আর যার ফল হাতেনাতে পেলেন মন্ত্রী নিজেই। উৎসবের আনন্দে গা ভাসাতে গিয়ে নিজেই এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন। পাশাপাশি বিশাল সংখ্যক মানুষের কোভিড পজিটিভ হতে সরাসরি সাহায্যও করলেন এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

নতুন বছরের শুরুর দিনই রাজ্য মন্ত্রিসভায় থাবা বসায় করোনা ভাইরাস। কোভিড পজিটিভ হয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অরূপ বিশ্বাস। এই হাসপাতালের একই কেবিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মেয়ে সানাও করোনা আক্রান্ত। হোম আইসোলেশনে রয়েছে সৌরভকন্যা। 

রাজ্যে করোনার দাপট ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্যভবনের শুক্রবার সন্ধের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২১৩ জন। যাঁদের মধ্যে ৭ হাজার ৪৮৪ জন কলকাতার বাসিন্দা। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে এটা সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৩, ১১৮)। তৃতীয় স্থানে থাকা হাওড়ায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬০ জন। আরও চিন্তা বাড়িয়ে হাজারের গন্ডি পার করলো পশ্চিম বর্ধমানও ( ১,০৪৩)। সবমিলিয়ে এদিন রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ লক্ষ ১১ হাজার ৯৫৭ জন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে মাস্ক পরতেই হবে। মেনে চলতে হবে কোভিডবিধি। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version