কলকাতা ব্যুরো: সাংসদ দেবের পর এবার ঘাটাল মহকুমার জলমগ্ন পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে তিনি বলেন, সরকার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে ঘাটালের মানুষ স্থায়ী সমাধান পান। কিন্তু এই জলমগ্ন পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচয় আগে থেকেই রয়েছে ঘাটালবাসীর। এখন এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে একমাত্র ভরসা মা দুর্গা। এই পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী মুক্তি দিতে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা জানাব।

ঘাটালের দু’নম্বর চাতাল থেকে নৌকো করে ঘাটালের রথিপুর এলাকা পরিদর্শন করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। বন্যা পরিদর্শনের পর ঘাটালে বন্যার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বকে সমর্থন করে ‘ম্যান মেড’ বন্যা বলে ডিভিসিকেই দায়ী করেন। বলেন, রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ায় আগের তুলনায় বন্যার ভয়াবহতা বেড়েছে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। আমরাও আগের তুলনায় মানুষের পাশে আরও বেশি করে থাকছি। অন্যান্য যেসব ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তার পাশাপাশি শ্রম দফতরও এবার বেশ কয়েক কোটি টাকা ত্রাণের জন্য দিচ্ছে। সব কিছু দেখে গেলাম। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সবিস্তারে রিপোর্ট দেব।

পুজোর আগে ঘাটালে এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সুব্রত বলেন, একদল মানুষের খুব কষ্টে মহালয়া কাটবে। মায়ের কাছে প্রার্থনা করব যাতে স্থায়ীভাবে ঘাটালের মানুষের এই দুর্দশা ঘোচে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও এখানকার মানুষ এবং আমাদের দল দরবার করেছে। আমরা সরকারিভাবেও দরবার করব যাতে ঘাটালের মানুষের জন্যে একটা স্থায়ী সমাধান হয়।

উল্লেখ্য, গত দু’মাসে বেশ কয়েকবার জলমগ্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ঘাটালে। অতিবর্ষণের পাশাপাশি ডিভিসির জল ছাড়ায় ডুবছে পশ্চিম মেদিনীপুর। ডুবেছে অন্যান্য জেলাও। পুজোর মরসুমে শোচনীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে। ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতরে শ্রম দফতরের একটি অনুষ্ঠানে এসে দফতরের কর্মীদের পরিবারের হাতে সরকারি আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মন্ত্রী। এরপর ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকরাও।