কলকাতা ব্যুরো: ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। হেরাট প্রদেশে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল ৭ জনের। জখম অন্তত ৯ জন। এখনও অবধি হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। তবে হামলার ধরন দেখে সন্দেহের তীর ইসলামিক স্টেটের জেহাদির গোষ্ঠীর দিকে।

শনিবার সন্ধেয় হেরাট প্রদেশের জনবহুল স্থানে একটি গাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বেশ কয়েকজন। আর কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই হামলার দায় নিয়েছে আইসিস।

তবে এই প্রথমবার দেশের পশ্চিম প্রান্তে হেরাট প্রদেশে এধরনের হামলা হল। এ সম্পর্কে স্থানীয় তালিবান নেতা নইমুল্লাহ হাক্কানি জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি ভ্যানের ইঞ্জিনে বিস্ফোরক রাখা ছিল। জনবহুল এলাকাতে ঢুকতেই বিস্ফোরণ ঘটে। জখম কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে তুঙ্গে পৌঁছেছে ইসলামিক স্টেট বনাম তালিবান লড়াই। কয়েকদিন আগে ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমর খোরাসানিকে হত্যা করে তালিবান। গত আগস্ট মাসে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ইসলামিক স্টেট। এই বিস্ফোরণের পিছনেও খোরাসানের দায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা।

বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version