কলকাতা ব্যুরো: দেশে এখনও দাপট দেখাচ্ছে করোনা। বেশ কয়েকটি জেলায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রও। এমতাবস্থায় দেশব্যাপী কোভিড -১৯ সংক্রমণ রুখতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়াল কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা সূত্রে এখবর জানা গিয়েছে। দেশে কোভিড সংক্রমণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেই এই নির্দেশ পাওয়া গিয়েছে।

বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট মোতাবেক, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ১৫৬ জন। নতুন করে করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৭৩৩ জনের। অতএব এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার ৮০৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৬ জন। করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছে মোট ৩ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৪ জন।

কয়েকদিন আগেই কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রও। কলকাতায় সংক্রমণের গ্রাফ উপরের দিকে উঠতেই রাজ্যকে এই প্রসঙ্গে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। রাজ্যকে দ্রুত ভ্যাকসিনেশনে জোর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

দেশে কোভিড-১৯ ভ্যারিয়ান্ট এওয়াই.৪ নামে করোনার নয়া প্রজাতির খোঁজ পেতেই উদ্বেগ বাড়ছে। ইন্দোরে সাত জনের শরীরে এই নয়া প্রজাতির করোনা সংক্রমণের খোঁজ মেলায় চিন্তা আরও বাড়ছে। ইন্দোর, কর্ণাটকের পর আরও তিন রাজ্যে মিলেছে এই নয়া প্রজাতির সংক্রমণের খোঁজ। ডেল্টা প্রজাতিগুলির থেকেও এটি বেশি বিপজ্জনক কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের একবার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। একমাত্র আশার আলো সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন কমে ০.৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৮৯ জনে। যা বুধবারের থেকে ১৬৭২ জন কম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-বিধি পালনে বিন্দুমাত্র ঢিলে হলে সমূহ বিপদ। রাশ সামান্য আলগা হলে এওয়াই.৪.২ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এওয়াই.৪.২ বেশি সংক্রামক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যে ভাবে ইউরোপে এওয়াই.৪.২ ছড়িয়েছে, তাতে স্পষ্ট, ভাইরাসের এই নতুন রূপ টিকার বর্ম ভেদ করতে পেরেছে।