কলকাতা ব্যুরো: বিধানসভায় তার ১০৭ তম জন্মদিন পালন হল তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে। সেখানে বিজেপি, তৃণমূল বিধায়করা শ্রদ্ধা জানালেন বাংলার রেকর্ড সময়ের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে। কিন্তু সেই বিধানসভায় বাম আজ শুন্য। একটিও আসন বামেরা না পাওয়ায় জ্যোতি বসুর ১০৭ তম জন্মদিনে বিধানসভায় বিরোধীরা তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন। যা এক কথায় নজিরবিহীন।
[3d-flip-book id=”26190″ ][/3d-flip-book]
২০০৬ সালে বামেরা ২৩৬ টি আসন পেয়ে তখন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। অথচ তার পরের নির্বাচনে দুই সংখ্যায় নেমে এসেছিল বামেদের বিধায়ক সংখ্যা। ২০১৬ সালে টিম টিম করে জ্বলেছিল বিধানসভায় বামেদের প্রদীপের সলতে। কিন্তু ২০২২১ এ তা একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে জ্যোতি বসুর জীবিত অবস্থায় এমনটা দেখতে হলো না বলে মন্তব্য করলেন এক বিরোধী দলের বিধায়ক। তবে তারা মনে করছেন এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে এখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তার আমলেই যেভাবে সভায় দাঁড়িয়ে তিনি ২০০৬ সালের বিধায়ক সংখ্যার হিসেব দিয়ে উদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন, তা এখনো বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের লাইব্রেরীতে রয়েছে।
বিধান বিধানসভায় না হলেও এদিন শহরে জ্যোতি বসুর জন্মদিন পালন হয় বিভিন্ন সংগঠনের তরফে।
নিউটাউনে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ সেন্টারের শিলান্যাস করেন বিমান বসু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্যের শীর্ষ নেতারা। গণশক্তি জ্যোতি বসুর স্মরণে একটি অনলাইন পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু যে বাংলায় ৩৪ বছর বামেরা শাসন করেছিল জ্যোতি বসুর হাতে তৈরি বাম জোট, হেরে যাওয়ার দেড় দশকের মাথায় সেই বাংলা থেকেই প্রতিনিধি বিধানসভায় পাঠাতে পারল না জ্যোতিবাবুর সেই জোটের কোনো দলই।