কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যে পুরভোটের তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরের ১৯ তারিখে কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের জন্য ভোট করতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের সেই আর্জি মেনে নিয়েছে কমিশন। সব ঠিক থাকলে আগামী মাসেই হচ্ছে পুরভোট। প্রস্তুতি শুরু করে দিল কমিশনও। আগামী ১২ নভেম্বর, শুক্রবার এই পুরভোট নিয়ে কমিশনের সদর দফতরে বসছে প্রথম বৈঠক।
সদ্য নির্বাচনি আবহের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে রাজ্য। প্রথমে বিধানসভা নির্বাচন ও পরে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের উপ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে ফের ভোটের দামামা বেজেছে রাজ্যে। রাজনৈতিক দলগুলিও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যে। এরই মধ্যে তৎপর হল কমিশনও। আগামী শুক্রবারেই বসছে প্রথম বৈঠক। কলকাতা ও হাওড়ার পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন কমিশনের আধিকারিকরা।
মূলত ভোটের প্রস্তুতি নিয়েই কথা হবে। উপস্থিত থাকবেন পুলিশ কমিশনার, জেলা শাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রশাসনিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে বসছে সেই বৈঠক। বিকেল ৩ টেয় সেই বৈঠক ডাকা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এই ধরনের বৈঠককে বলা হয় ফার্স্ট লেভেল চেকিং। জানা গিয়েছে, ইভিএমেই হবে ভোট। তার জন্য আধিকারিকদের কী ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, সেই বিষয়েও আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। এ ছাড়া ভোট কবে ঘোষণা করা হবে, সেই বিষয়টাও বৈঠকে উঠে আসতে পারে বলে সূত্রের খবর। সম্ভবত চলতি মাসের ২৫ তারিখে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।
তবে পিছিয়ে নেই রাজনৈতিক দলগুলিও। সোমবারই কলকাতায় বসে বিজেপির বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ রাজ্য নেতৃত্ব। মূলত হাওড়া ও কলকাতার পুরভোটের জন্য কমিটি গঠন করতেই এই বৈঠক বসে। দু জায়গার জন্য দুটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়।
যদিও বিজেপি চায় ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। তাদের দাবি, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সমস্ত পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে হোক। বিজেপিকে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপির দাবি, হাওড়া ও কলকাতায় বিজেপি কিছুটা দুর্বল বলেই এই জায়গায় আগে ভোট করতে চাইছে তৃণমূল।