কলকাতা ব্যুরো: শুধুমাত্র ওষুধের দোকানই নয়, শপিং মল বা স্টেশনারি দোকানেও এবার পাওয়া যাবে প্যারাসিটামল বা কাশির ওষুধ। ডাক্তারবাবুর প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাড়ার দোকান থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ কিনে রাতে শোয়ার আগে খেতে পারবেন। এমনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৬টি ওষুধ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে কেনা যাবে। বিক্রি হবে ওষুধের দোকান ছাড়া যে কোনও শপিং মলে অর্থাৎ এখন থেকে এই ১৬টি ওষুধকে ‘ওভার দ্য কাউন্টার সেল’ হিসাবে চিহ্নিত করল কেন্দ্র।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জ্বর-সর্দির জন্য বহুল ব্যবহৃত প্যারাসিটামল-৫০০ ট্যাবলেট যেমন রয়েছে, তেমনই ফেরিডামিন জাতীয় চুলকানির ওষুধ, আবার কাশি কমানোর ডেক্সট্রমেথফোর্ন হাইড্রব্রোমাইড ওষুধ। বোলতা, ভীমরুল বা কীটপতঙ্গ কামড়ালে ফেরিডামিন জাতীয় ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখে থাকেন অধিকাংশ চিকিৎসক।
আবার অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে প্রচলিত ক্যালামাইন লোশনের কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে। বস্তুত খোলা বাজারে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রির নিদান ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত চিকিৎসক মহল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে আর যে সব ওষুধ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা যাবে তার মধ্যে অ্যালার্জি কমাতে ডাইফেনহাইড্রেমাইন ২৫ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ল্যাকটুলোজ সলিউশন ১০ মিলিগ্রাম অথবা সর্দিতে নাক বন্ধ হলে জাইলোমেটাজোলাইন হাইড্রোক্লোরাইড ০.০৫ শতাংশ।
‘ওভার দ্য কাউন্টার সেল’ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রির অনুমোদনের পাশাপাশি দোকানদার বা বিক্রেতার জন্য কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, বলা হয়েছে ওষুধের প্যাকেটের সঙ্গে ‘পেশেন্ট ইনফরমেশন লিফলেট’ জুড়ে দিতে হবে অর্থাৎ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। ওষুধের প্যাকেটে যে দাম (এমআরপি) উল্লেখ করা থাকবে, তার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। তৃতীয়ত, রোগীকে পাঁচদিনের বেশি ওষুধ বিক্রি করা যাবে না এবং পাঁচদিনের মধ্যে সমস্যা না কমলে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।