কলকাতা ব্যুরো: পাত্র প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। সুদর্শন। একমাত্র ছেলে ৪২ বছর বয়স। তিনি আবার নিরামিষভোজী। মা পেনশন পান।উত্তর দিনাজপুর কালিয়াগঞ্জ শহরে বাড়ি। তার ইচ্ছে ঘর জামাই থাকার। দাবি তেমন কিছু না, শিলিগুড়িতে ছোট ও উচ্চবিত্ত পরিবারের অন্তত ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা চাই। প্রকৃত বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন পাত্রী যোগাযোগ করুন।বহুল প্রচলিত একটি সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞাপন দেখে ফের শুরু হয়েছে সমালোচনা। এক যুবক তিনি ঘর জামাই থাকতে ইচ্ছুক, কিন্তু তা বলে প্রার্থীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকতে হবে। এই চাহিদা কি মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, প্রশ্ন তুলছেন নাগরিকরা। আর সমাজকর্মীদের বক্তব্য, আসলে সে ছোট বিজ্ঞাপন পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ছবি।যেখানে তার কী সম্পত্তি আছে সে ব্যাপারে কিছু না জানিয়ে পাত্রীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকাটা বিয়ের একমাত্র শর্ত বলে জানাচ্ছেন। পাত্র পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে শুধু মেয়ের বাড়ির প্রতি তার একমাত্র চাহিদা ১০ কোটির সম্পত্তি ও ছোট পরিবার। সেখানে মেয়ের কোন গুণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই ওই ব্যক্তির।ফলে তিনি কাকে বিয়ে করবেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। অর্থাৎ ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি, নাকি একজন নারী। ৪২ বছর বয়সের সেই ব্যক্তি নিজের নিরাপত্তা দেখতে গিয়ে আদতে সম্পত্তির মতোই একজন মেয়েকে পাশে চাইছেন। সমাজকর্মীরা বলছেন, মূল্যবোধের অবক্ষয় একেই বলে। নারী বাদী রা বলছেন, নারীকে পণ্য ভাবার এক হাতে গরম উদাহরণ এই ছোট্ট বিজ্ঞাপনটি।