এক নজরে

মাও-পর্যটক মোলাকাত অস্বীকার পুলিশের

By admin

September 05, 2020

কলকাতা ব্যুরো: যে ঘটনাকে পুলিশ স্বীকারই করতে চাইছে না তাহলে সেই ঘটনাস্থলে কেন পৌছলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি!জঙ্গলমহলে গত দু’সপ্তাহ ধরে মাওবাদী উপস্থিতির ইঙ্গিত মিলছে। কোথাও পোস্টার মারা হয়েছে মাওবাদীদের তরফে আবার কোথাও ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া, এমনকি তোলা না পেয়ে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

এই অবস্থায় দুদিন আগে ঝাড়গ্রামে বেলপাহাড়ীর প্রত্যন্ত অঞ্চল ঢাঙ্গীকুসুমে চার পর্যটককে ঘিরে ধরে মাওবাদীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কোনরকমে ঝাড়গ্রাম থেকে নিজেদের এলাকায় ফিরে গিয়ে খড়গপুর থানায় তারা অভিযোগ জানান। বয়ানে বলা হয়, তারা যখন ধলভূম গড়ের লাগোয়া একটি ঝর্ণার সামনে ছবি তুলছিলেন, সে সময় হঠাৎ করে তাদের সামনে এসে দাঁড়ান সাতজন। যাদের মধ্যে দুজনের হাতে ছিল লং রাইফেল। সকলেরই মুখ ঢাকা ছিল গামছায়। সাতজনের মধ্যে তিনজন ছিলেন তরুণী। তারা কোথা থেকে আসা হয়েছে, কেন আসা হয়েছে, এমন নানা প্রশ্ন করার পর পর্যটকদের মোবাইল গুলি নিয়ে তাদের সেখান থেকে ফিরে যেতে বলেন বলে থানায় অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন জানিয়েছিলেন।কিন্তু সেই ঘটনা জানাজানি হতেই উল্টো ফল। একদিন পরেই সেই পর্যটকরা নিজেদের বয়ান বদলে নিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। অর্থাৎ মাওবাদীরা তাদের মোবাইল ছিনতাই করেনি এবং মাওবাদী সংক্রান্ত কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি পুলিশের একাংশের। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যদি সত্যিই সেদিন বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত ওই জায়গায় কোন ঘটনা না ঘটেই থাকে, তাহলে কেন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দলবল নিয়ে শনিবার ঝাড়গ্রামে বৈঠকের পর পৌঁছতে হল সেই ঘটনাস্থলেই!উত্তর অজানা।