কলকাতা ব্যুরো: ব্যারাকপুরে মণীশ শুক্লা খুনে ফের উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। একইসঙ্গে বিজেপি নেতা খুনে আবার স্বমহিমায় রাজ্যভবন। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা অবনতি ইস্যুতে এর আগেও বিভিন্নসময় তার নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। বিজেপি নেতা খুনের ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রাজ্যপাল তলব করলেন রাজভবনে। সোমবার বেলা ১০ টায় রাজ্যের ওই পদস্থ দুই আমলাকে হাজির হতে হবে রাজ্যপালের সামনে। ফলে শুক্লা খুন নিয়ে আবার রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের বড়োসড়ো সংঘাতের আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যে এই খুনের তদন্তের জন্য সিবিআইকে ডাকার দাবি তুলেছে বিজেপি। অর্জুন সিং জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি নেতার খুনের সিবিআই তদন্ত ছাড়া ফল পাওয়া যাবে না।
এদিকে হাওড়ার পাঁচলা য় দলীয় কর্মীসভা থেকে ফেরার সময় গাড়ি থেকে নেমে টিটাগড় থানার সামনে দলীয় অফিসে ঢোকার মুহূর্তেই মণীশ শুক্লাকে স্টেনগান থেকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ অর্জুন সিং এর। তার অভিযোগ, পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক গোটা খুনের ছক করা হয়েছে। না হলে মণীশ গাড়ি থেকে নেমে মাত্র কয়েক পা হেটে পার্টি অফিসে ঢোকার মুহূর্তেই দুষ্কৃতীরা বাইক এসে ঘিরে ধরে তাকে স্টেনগান থেকে গুলি চালাতে পারতো না বলে মনে করছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। এক্hষেত্রে তার অভিযোগ, পুলিশ এবং তৃণমূলী গুন্ডাদের দিকে। যদিও তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, এটা বিজেপির দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। তৃণমূল এই ঘটনায় ঢোকার কোন কারণ নেই।এদিন শুক্লার মৃত্যুর খবর
পরেই বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী ব্যারাকপুরে তার বাড়িতে যান। রাতেই বিটি রোড দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে রেখেছে বিজেপি। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে ঘিরে বিক্ষোভ চলছে টিটাগড়ে। এই অবস্থায় সোমবার সকাল থেকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ১২ ঘন্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সবমিলিয়ে মণীশ খুনে আবার ব্যারাকপুরে রাজনীতিতে গোলমালের আশঙ্কা করছেন বর্ষিয়ান পুলিশ কর্তারাও।