কলকাতা ব্যুরো: ব্যারাকপুরে মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনার তদন্ত হাতে নিচ্ছে সিআইডি। সোমবার দুপুরে ভবানী ভবন সূত্রে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এর আগেই এদিন ভোর বেলায় সিআইডির একটি টিম টিটাগড় এ খুনের ঘটনা স্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত ও নমুনা সংগ্রহের কাজ করে। পরে তারা টিটা গড় থানায় গিয়ে কালকের ঘটনায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। যদিও বিজেপি ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে।
এদিকে বিজেপির ব্যারাকপুরের প্রভাবশালী এই নেতা খুন ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি টুইট করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এরইমধ্যে মণীশ শুক্লার বিরুদ্ধে ২০০৯ সাল থেকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন থানায় থানায় থাকা ১৬ টি মামলার রেকর্ড প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে পুলিশই এই রেকর্ড বের করেছে। বিজেপিকে পাল্টা চাপে রাখতেই এই ছক বলেও কানাঘুষো চলছে।
২০০৯ সালে সিপিএমের ছত্রছায়ায় থাকাকালীনই মনীশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। খুন, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখার মত মামলায় অভিযুক্ত এই শুক্লা। তারমধ্যে টিটাগর থানার রয়েছে ১০ টি অভিযোগ। বিজপুরে থানায় দুটি, নৈহাটিতে ও ব্যারাকপুরে একটি করে এবং জগদ্দল থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ রয়েছে। তিনি সিপিএমের সঙ্গ ছাড়ার পর তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ছিলেন। পরবর্তীতে অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে সাংসদ হওয়ার পর তিনি তার সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেন।
যদিও এই খুনের ঘটনার কারণ নিয়ে পুলিশের এক তরফের দাবি করা হচ্ছে, তিনি ইদানিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই কারণেই খুন কিনা এবার সে দিকেই নজর ঘোরাচ্ছে একটা মহল। যদিও বিজেপির তরফ এ দাবি করা হয়েছে, খুনের ঘটনাকে হালকাভাবে দেখানোর জন্যই মনীশের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলি পুলিশ প্রকাশ করে দিয়েছে। যদিও মণীশ বিজেপিতেই ছিলেন এবং তিনি তৃণমূলে যোগ দিতেন এমন কোন ইঙ্গিত ছিল না বলেই দাবি বিজেপি নেতাদের।
মনীশের খুনের ঘটনায় এদিন সকাল থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পথ অবরোধ চলছে। বেশ কিছু দোকানপাট টিটাগড় ব্যারাকপুর এলাকায় বন্ধ রয়েছে। এদিন সকালেই কৈলাশ বিজয় বর্গী, মুকুল রায়ের মতো বিজেপি নেতারা মণীশের বাড়িতে যান।