কলকাতা ব্যুরো : রবিবার মন কি বাতে-র রেডিও অনুষ্ঠানে খেলনা তৈরিতে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর মোদির এদিন খেলনা তৈরির উৎসাহে অনেকেই নাম না করে চিনকে চ্যালেঞ্জের ছায়া দেখছেন। কারণ এ দেশে যে খেলনার বাজার চলে তার ৭০- ৮০ শতাংশ আমদানি হয় চিন থেকে। বাকি খেলনার অন্তত ১০-১৫ শতাংশ আসে ব্যাংক-মালয়েশিয়া থেকে। বছরখানেক আগে চিনের সঙ্গে সিকিমে সীমান্ত সংঘাতের পর এবার কাশ্মীরে সেই বিবাদ আরও তীব্র হয়। ২০ জন জওয়ানের মৃত্যুতে দেশে চিন বিরোধী হাওয়া বাড়তে থাকে। তার ফলে চিনা দ্রব্যের বর্জনের ডাক ওঠে। আর তার ফলে এই আবহে রাখি পূর্ণিমায় চিনের রাখি আমদানি এবার প্রায় বন্ধ ছিল। আবার চিন বিরোধীতার হাওয়া জারি থাকায় ভারতে খেলনার বাজারে বড় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর খেলনা বানানোর ডাক ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ব্যবসায়িমহল। তরুণ, যুব সমাজকে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে খেলনা তৈরির অনুরোধ করেছেন মোদী। তিনি জানান, ভারতে ৭ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয় খেলনার বাজারে। কিন্তু তাতে ভারতের যোগদান নেই বললেই চলে। তাই সরকার দেশীয় খেলনা তৈরিতে উৎসাহ যোগাবে।
তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার গেমসের চাহিদাও কম নয়। প্রায় সব কম্পিউটার গেমই বিদেশী। দেশের তরুণদের কাছে তাই আহবান দেশের পুরনো ধারণা নিয়ে গেম বানান। মোদী বলেন, সারা দেশে সেপ্টেম্বর মাস নিউট্রিশন মন্থ বা পুষ্টি মাস হিসাবে পালিত হবে। দেশের বিকাশে পুষ্টির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এ ছাড়া শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে শিক্ষকদের শিক্ষা দিতে অনুরোধ করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের কৃষকদেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষকরা লকডাউনের মধ্যেও খরিফ শষ্যের উৎপাদন করেছেন। এই শস্যের উৎপাদন ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।