কলকাতা ব্যুরো: ফের শহরে চললো গুলি। রিজেন্ট পার্কের পর এবার ঘটনাস্থল তিলজলা। শনিবার সাতসকালে প্রতিবেশীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলো। চলে বোমাবাজিও। ঘটনায় জখম ওই প্রতিবেশী এবং তার বাবা। আহতরা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে আদৌ এলাকায় গুলি চলেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তিলজলার তাড়িখানা রোড এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে অশান্তি চলছিল। তার ফলে চাপা উত্তেজনা ছিলই। শনিবার সাতসকালে রাজু রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাজার সেরে ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় এলাকারই বাসিন্দা জীবত রায় এবং তার ভাইয়েরা রাজুর পথ আটকায়। কথা কাটাকাটি হয়। বচসা মেটাতে আসরে নামেন রাজুর বাবা ডাবলু রায়। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, বচসা চলাকালীন ঘটনাস্থলে তিন রাউন্ড গুলি চলে। তাতেই রাজু জখম হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে সে। রাজুর বাবাও জখম হন। দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের।
এরপরই খবর দেওয়া হয় তিলজলা থানায়। ডিসি (এসিডি)-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে ততক্ষণে জীবত এবং তার ভাইয়ের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে পুলিশ। এলাকায় গুলি চলেছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও পুলিশের তরফে নিশ্চিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি। আদৌ ওই এলাকায় গুলি চলেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত জীবত এবং তার ভাইদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যু্ক্ত। বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে আগেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তবে ঠিক কী কারণে রাজু রায়ের উপর হামলা চালাল তারা, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
উল্লেখ্য, এর আগে দোলের দিন শুক্রবার দুপুরের দিকে রিজেন্ট পার্কে মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুর স্ত্রীর গালে আবির লাগানো নিয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে বচসা বাঁধে। চালানো হয় গুলিও। তাতে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়। পেশায় বাদাম বিক্রেতা ওই ব্যক্তির কাছে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্রটি এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।