কলকাতা ব্যুরো: কংগ্রেসে রাজীব গান্ধী ছিলেন তার হৃদয়, আর প্রণব মুখোপাধ্যায় তার দাদা। মমতার এই স্বীকারোক্তি যদি কয়েনের একপিঠ হয়, তবে তার উল্টো পিঠ অবশ্যই মুখোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্য। যেখানে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, মমতা জন্ম যোদ্ধা। মমতা আজ যেখানে এসেছে, তা তার নিজের হাতে তৈরি করেই এখানে এসেছে। কেউ তাকে জায়গা ছাড়েনি।বরাবরই প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নানান মহলে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ গত তফাৎ হয়েছে প্রকাশ্যেই। সেটা হাজার ১৯৯২ সালের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন নিয়েই হোক, অথবা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন। কিন্তু কোথাও তাদের ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা আর স্নেহের সম্পর্কে ছেদ হইনি।মমতার জেদ তার একাগ্রতা তার সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইকে বরাবর সম্মান করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। আবার ক্ষুরধার বুদ্ধির প্রণবকে বরাবরই দাদার মত সম্মান দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রণবের মৃত্যুর পর মমতার যে শোক বার্তা লিখলেন সেখানে উঠে এলো সেই ব্যক্তি সম্পর্কের ছোঁয়াও।মমতা তার শোকবার্তায় বললেন, ব্যক্তিগতভাবে প্রণববাবু আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে আমি তার ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান উপদেশ পেয়েছি। তিনি আমার জীবনে অভিভাবকতুল্য ছিলেন।মমতা এক জায়গায় টুইটে লিখেছেন, আমি দুঃখের সঙ্গে লিখছি যে ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায় আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। একটা যুগের অবসান হলো। আমি যখনই দিল্লি গিয়েছি প্রনবদার সঙ্গে দেখা না করে ফিরিনি। তিনি ছিলেন রাজনীতি এবং অর্থনীতির একজন অন্যতম লেজেন্ড।