কলকাতা ব্যুরো: ঘোষণা আগেই হয়েছিল। সেই মতোই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে লখনউ যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির হয়ে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের রাজধানীতে সুর চড়াবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সোমবার বিকেলে লখনউ পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে তাঁকে স্বাগত জানাবেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। মঙ্গলবার সপার দপ্তরে মমতা-অখিলেশ বৈঠকের পর হবে সাংবাদিক সম্মেলন। ওই সম্মেলন থেকেই উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছে বিজেপিকে হারানোর ডাক দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, করোনার কারণে আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রচারের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাই প্রতিটি দলই ভারচুয়াল প্রচারে জোর দিচ্ছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হবেন।

রাজনৈতিকভাবে মমতার এই কর্মসূচি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে অনেকটাই চাপে ফেলে দিয়েছেন অখিলেশ। যোগীর বিরুদ্ধে একের পর এক পালটা দিচ্ছেন সপা সুপ্রিমো। এমনকী নির্বাচনে বিভিন্ন সমীক্ষাও তাঁকে এগিয়ে রাখছে। ঠিক সেই সময় বিজেপি-বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর রাজ্যে প্রচারে ব্যবহার করতে চান অখিলেশ কারণ একুশের বিধানসভায় বাংলায় তৃণমূলের বিরাট জয়ের পর থেকে জাতীয় স্তরে আরও উজ্জ্বল হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ।

তবে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভোটে তৃণমূল কোনও প্রার্থী না দিলেও চব্বিশে লোকসভায় প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছেন মমতা। ফলে উত্তরপ্রদেশবাসীর মন বুঝতে আগ্রহী তিনিও। ইতিপূর্বে উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার জন্য অখিলেশের বার্তা নিয়ে মমতার সঙ্গে কলকাতায় এসে দেখা করে গিয়েছিলেন কিরণময় নন্দ। বামফ্রন্ট সরকারের প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময়বাবু আন্তরিকভাবেই জানিয়ে যান, উত্তরপ্রদেশে তাঁদের প্রচারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রয়োজন। কারণ, তিনি মোদি-বিরোধী মুখ। বস্তুত, মমতার ইমেজকেই যে সমাজবাদী পার্টি কাজে লাগাতে চায়, এই আহ্বানে সেটাই স্পষ্ট হয়। মমতাও সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। সেই মতোই আজ তিনি রওনা দিচ্ছেন লখনউয়ের উদ্দেশে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version