কলকাতা ব্যুরো: সরকারি স্কুলের নীল-সাদা পোশাকে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে মামলাকারীকে একহাত নিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলায় আঁচালেও তৃণমূলের দোষ হয়। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে বিধবা ভাতাপ্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমি আমার বাংলা নামটাকে ভুলে যাই কী করে? সরকারি স্কুলে জুতো, পোশাক দিই। তাতে একটা লোগো থাকবে। তারা বাংলার নাম গর্ব করে বলবে। কে একটা কোর্টে গিয়ে বললো তৃণমূলের লোগো। খোঁজ রাখে না।

মমতা আরও বলেন, সবকিছুতেই তৃণমূলের দোষ। লোগোটা আমি তৈরি করেছিলাম। তৈরি করে বাংলা সরকারকে দিয়েছিলাম। সরকারের যত লোগো সবই আমার করে দেওয়া। তার জন্য পয়সা নিই না। বেসরকারি স্কুল ইচ্ছামতো ব্যাজ ব্যবহার করতে পারে। সরকারি স্কুলও করতে পারে। বারণ করিনি। শুধু স্কুলের পোশাকে একটা লোগো থাকবে।

কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার সিলমোহর লাগাতেই পারে। বাংলার সরকার পারে না। দিল্লির লোকেরা নিজেদের ছবি লাগিয়ে দিত। আমরা সেসব করি না।

স্কুলের ছাত্রদের পোশাক সাদা প্যান্ট এবং নীল জামা। আর ছাত্রীদের সাদা শার্ট এবং নীল টিউনিক ফ্রক। তৈরি হবে নীল-সাদা সালোয়ার কামিজও। প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের একটি হাফ ও একটি ফুলপ্যান্ট দেওয়া হবে। তারা পাবে একটি হাফ ও একটি ফুল শার্ট। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য থাকবে দুই সেট করে শার্ট ও টিউনিক ফ্রক। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীরা পাবে শার্ট ও স্কার্ট। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য থাকবে দুই সেট করে সালোয়ার কামিজ ও দু’টি করে ওড়না। পোশাকের পকেটের কাছে থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো। রবিবার শিক্ষাদপ্তরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

সোমবার তার পরিপ্রেক্ষিতেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হলো হাইকোর্টে। জানা গিয়েছে, AISF অর্থাৎ বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে আইনজীবী সৌমেন হালদার মামলাটি দায়ের করে সরকারি বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানান। এই নির্দেশের বিরোধিতায় সরব বিজেপির একাংশও। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version