কলকাতা ব্যুরো: আবারও উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবারের সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১১ সালে পালাবদলের পর এই প্রথম এককভাবে শিলিগুড়ি পুরনিগমের দায়িত্ব পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাজেই কলকাতার যমজ শহর শিলিগুড়ির উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা এই সফরে তিনি তুলে ধরতে পারেন। একইসঙ্গে পাহাড়ের নতুন রাজনৈতিক দল হামরো পার্টির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

সবাইকে চমকে দিয়ে হামরো পার্টি দার্জিলিং পুরসভায় ক্ষমতায় এসেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, পাহাড়ের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি অনুন্নয়নকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। উত্তরবঙ্গে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে কিছু বলেন কিনা, সেটাই এখন দেখার। ছ’দিনের সফরে শনিবারই উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরবেন ৩১ মার্চ ৷

ছ’দিনের সফরে রবিবার অর্থাৎ ২৭ মার্চ দুপুরে শিলিগুড়ির উত্তরা গ্রাউন্ডে একটি সরকারি অনুষ্ঠান, দার্জিলিংয়ের ম্যালে আরেকটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এবার উত্তরবঙ্গে বেশিরভাগ সময়টাই তিনি পাহাড়ে কাটাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে থাকার মধ্যে খুব একটা নতুনত্ব নেই। এর আগেও একাধিকবার তিনি পাহাড়ে থেকেছেন।

সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনে পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে ৷ সুভাষ ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ এবং বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিপত্তিকে অনেকটাই ম্লান করে পাহাড়ে উঠে এসেছে হামরো পার্টি। এই অবস্থায় নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘাসফুলের সমঝোতা কেমন হবে, সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। অন্যদিকে এবছর রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাকি থাকা পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং জিটিএ নির্বাচন করতে চাইছে। তাই এইসময় পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনজাতির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version