কলকাতা ব্যুরো: সমাজকর্মী তিস্তা শীতলওয়াড় ও সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নাম না করে তিনি উল্লেখ করলেন নূপুর শর্মার প্রসঙ্গও।

মঙ্গলবার আসানসোলের কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, যখন আপনাদের নেতারা ধর্ম নিয়ে মিথ্যে বলেন, ঘৃণা ছড়ান, তখন আপনারা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন না। সেই ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব থাকেন। আপনারা খুন করলেও চর্চা হয় না। আমরা কথা বললেই খুনি বানিয়ে দেন! জুবেইরকে কেন গ্রেপ্তার করলেন? তিস্তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হল? ওঁরা কী করেছেন? পাশাপাশি মমতা বলেন, আমি নাম নেব না। আমরা নাম নিতে চাই না। কিন্তু যাঁরা ধর্ম তুলে গালাগালি করেন, তাঁদের আপনারা কেন গ্রেপ্তার করেন না? তবে আমাদের সরকার তাঁকে সমন পাঠিয়েছে। আমরা ছাড়ব না।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে | Workers' convention at Paschim Bardhaman

পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে | Workers' convention at Paschim Bardhaman

Posted by Mamata Banerjee on Tuesday, June 28, 2022

উল্লেখ্য, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গের অভিযোগে জেরবার নূপুর শর্মা। গোটা দেশে তাঁর বিরুদ্ধে চলেছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এর আঁচ এসে পড়েছিল বাংলার বিভিন্ন জেলাতেও। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হাওড়া-সহ একাধিক এলাকায় সড়ক অবরোধ হয়। আগুনে পোড়ে গাড়ি-দোকান। এই ঘটনায় বিভিন্ন শহরের একাধিক থানায় নূপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন সরাসরি বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রীর নাম না নিয়ে সেই বিষয়েই বিজেপিকে তুলোধনা করলেন মমতা

এদিকে গত রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে গুজরাটের সমাজকর্মী তিস্তা শীতলওয়াড়কে। শনিবার তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় তিস্তাকে। গত শুক্রবার ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে যারা ‘উসকানি’ দিচ্ছিল তাদের ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। তিস্তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির নাম উল্লেখিত হয় সেই প্রসঙ্গে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ক্ষোভ উগরে দেন তিস্তার বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সোমবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ‘AltNews’-এর সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরকে। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করা হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই আদালতে পেশ করা হয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায়।

এদিনের কর্মিসভায় একাধিক প্রসঙ্গে বিরোধীদের তুলোধোনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, বিজেপি একটা অপদার্থ দল। অগ্নিবীরদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির অধিকারের দাবিতে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ৪ বছরের চাকরিতে জীবন চলে না। চাকরি করতে দিতে হবে ৬০ বছর পর্যন্ত। সেটা না পারলে মিথ্যা কথা বলবেন না। আসলে এটা একটা দুর্নীতি। বিরাট বড় দুর্নীতি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version