কলকাতা ব্যুরো: নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে অভিনবভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন বাংলায়। তাঁর জন্মমুহূর্ত ঠিক দুপুর সোয়া বারোটায় বেজে উঠল শাঁখ, সাইরেন। রেড রোডে তাঁর মূর্তির পাদদেশে সম্মান প্রদান করলেন পরিবারের সদস্যরা। গাইলেন গান। ফুলের স্তবক দিয়ে সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজালেন শাঁখও। একইসঙ্গে রেড রোডের মঞ্চ থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার বেলা বারোটা নাগাদ রেড রোডে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরাও। উপস্থিত ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবার। সুগত বসু, সুমন্ত্র বসুর পাশাপাশি হাজির ছিলেন চন্দ্র বসুও। তাঁদের উপস্থিতিতেই একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বে স্বাধীনতা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ভেবেছিলাম এদিন পদযাত্রা করব। কিন্তু করোনার জন্য স্থগিত রাখতে হল। তবে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এই পদযাত্রা হবে।” একইসঙ্গে তাঁর ঘোষণা, নেতাজির নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। তাঁর নামে বাঁকুড়াতে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এনসিসির কায়দায় স্কুল-কলেজে তৈরি হবে জয় হিন্দ বাহিনী। আপাতত করোনা পরিস্থিতির জন্য এই বাহিনী গড়ার কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, নেতাজির জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ মিউজিয়াম। এমনকী, ঋষি অরবিন্দ যে সেলে দীর্ঘদিন বন্দী ছিলেন, সেখানে মিউজিয়াম তৈরি করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, স্বাধীনতা সংক্রান্ত, নেতাজির জীবন নিয়ে যা যা তথ্য, ফাইল ছিল তা সব প্রকাশ্যে এনেছে রাজ্য। তা ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ২৫ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং ১৫ থেকে ২১ আগস্ট রাজ্যের সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূর্তি ফুল এবং আলো দিয়ে সাজানো হবে।

এছাড়াও আরও কিছু উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলার যে সমস্ত এলাকা স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে যুক্ত, সেখানে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে। শোনানো হবে সেই ইতিহাস। পাশাপাশি, তাম্রলিপ্ত সরকার গঠনের দিনও উদযাপিত হবে তমলুকে। প্রকাশিত হবে বিশেষ পুস্তিকা। যেখানে স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত নারীদের নিয়ে তৈরি হবে বিশেষ পুস্তিকা। তৎকালীন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রকাশিত হবে বই।