কলকাতা ব্যুরো: আর কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করবে না রাজ্য। বৃহস্পতিবার বগটুইয়ে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১০ দিন রাজ্যজুড়ে চলবে বিশেষ অভিযান। পুলিশি অভিযান চলবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। উদ্ধার করা হবে বেআইনি অস্ত্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ সুপারদের এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন ডিজিপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দাঁড়িয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর কথায়, রামপুরহাটের এসডিপিও, আইসি, ডিআইবি তাঁদের দায়িত্ব পালন করেনি। ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গেলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। যাঁরা জেনেও পুলিশকে ঠিক মতো কাজে লাগায়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছিল। এমনকী, একাধিক খুনের খবরও সামনে এসেছে। যার জেরে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। এমন পরিস্থিতি কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বললেন, আর কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করব না। কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। যাঁরা পারবেন না তাঁদের পুলিশে থাকার প্রয়োজন নেই।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে রাজ্যের ডিজি মনোজ মালব্য জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেছেন। যেখানে আগামী ১০ দিন রাজ্যজুড়ে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বোমা, বন্দুক-সহ বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যেই চলবে অভিযান। জেলা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে থাকবেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরাও। কিন্তু পুলিশেরই একাংশের প্রশ্ন, কেন ১০ দিনের জন্য এই অভিযানের সময়সীমা বাঁধা হলো তা স্পষ্ট নয়। বেআইনি অস্ত্র যে ঢুকছে, এটা সবার জানা। তার জন্য পুলিশের লাগাতার অভিযান জরুরী। সেখানে এত বড় ঘটনার পর কেন নোটিশ দিয়ে তাও ১০ দিনের জন্য অভিযানের নির্দেশ দেওয়া তাতে সমালোচনা নতুন করে বেড়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যে কার্যত অকর্মন্য হয়ে পরেছে রামপুরহাটের ঘটনা তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে রামপুরহাটে বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পরই সেই রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।