কলকাতা ব্যুরো: বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকাল ৫টায় মোদী-মমতা সাক্ষাৎ। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে হবে এই বৈঠক। একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ-এর এলাকা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি যাওয়ার আগেই সে কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে জিএসটি বাবদ ২০০০ কোটি টাকা প্রাপ্য বাংলার।
পাশাপাশি আমফান, ইয়াস ইত্যাদি মোকাবিলা বাবদ ৩২ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এছাড়াও আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, ন্যাশনাল হেলথ মিশন, জল জীবন মিশন-সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। সেই টাকা মেটানোর জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিরোধী জোটের জমি তৈরি করার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও রয়েছে তাঁর দিল্লির সফর সূচিতে। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে কোন পথে এগোনো হবে, তা নিয়েও দলের সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তৃণমূলনেত্রী। এবং সেখানে বড় হয়ে উঠতে চলেছে ত্রিপুরা ইস্যু।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর রাজধানী সফরের মধ্যেই দিল্লিতে বিদ্যুত্ বিভ্রাট। মমতা দিল্লি গেলে থাকেন সাউথ অভিনিউয়ে অভিষেকের বাংলোয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ গোটা সাউথ অ্যাভিনিউয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়। বাড়িতে আলো না থাকায় বেশ কিছু ক্ষণ অন্ধকারেই থাকতে হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এই সাউথ অ্যাভিনিউয়েই থাকেন হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী, সাংসদেরা। ঢিল ছোঁড়া দূরে রাষ্ট্রপতি ভবন। বিদ্যুৎ বিপর্যয় দুর্ভোগ বাড়ে এলাকার বাসিন্দাদের। দিল্লি প্রশাসন সূত্রের খবর, আচমকাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই লোডশেডিং হয়েছিল। বেশ কিছুক্ষন বিদ্যুৎহীন থাকার পর আলো আসে।
প্রসঙ্গত, এই বছরই জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন। রাজ্যে তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম দিল্লি সফর। সেবারও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।