কলকাতা ব্যুরো: পাহাড় সফরে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Meets Dhankhar)। বুধবার জগদীপ ধনকড়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে যান মমতা (Mamata Meets Dhankhar)। উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। তবে এদিনের বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় তিন ঘন্টা রাজ্যপাল ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বুধবার দুপুরে নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে দার্জিলিং ম্যালের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান শেষে চড়াই উতরাই পেরিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে পাড়ি দেন তিনি। পথের ধারে ক্যাফেতেও ঢুঁ মারেন। গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে গলা ভেজান। অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের গানে তালও মেলান।

এরপরই রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ঘণ্টা তিনেক কথাবার্তা হয় তিনজনের। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, গোটাটাই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। এক কাপ চা আর একটা বিস্কুট খেয়েছি। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা হয়েছে। ভালো লাগছে। আমি যখন কামাক্ষা সফরে গিয়েছিলাম তখন অসম সরকারও সাহায্য করছিল। আমার মনে হয় পাশাপাশি অবস্থিত দুটি রাজ্যের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা উচিত। তাছাড়া আমরা অসমের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করি। অসমের অনেক মানুষ বাংলায় থাকেন আবার অনেক বাংলার মানুষও অসমে থাকেন। সেক্ষেত্রে দুই সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা দরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সে রাজ্যের উত্তরীয় উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনিও বাংলার উত্তরীয় উপহার দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত থেকে শুরু অশোক স্তম্ভ বিতর্ক-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে কিন্তু তিনি জানান বৈঠকে এ ধরনের কোনও বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়নি এদিন।

তবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোটেও সদ্ভাব নেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য-সহ একাধিক ক্ষেত্রে বারবার দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। বুধবারও বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। আর এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাক্ষাৎকে একেবারে ‘অরাজনৈতিক’ বলে মানতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version