কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যে অজানা জ্বরে শিশু মৃত্যু বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহর থেকে জেলায় জ্বরের প্রকোপে অসুস্থ খুদেরা। তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। উপসর্গে করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিল থাকায় আরও উদ্বেগ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে এখন রাজনীতি শুরু হয়েছে। তাই যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তার জন্য দ্রুত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং উত্তরবঙ্গের সরকারি ল্যাবকে এই জ্বরের ভাইরাসের চরিত্র কী? তা পরীক্ষা করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই জ্বরে চিকিৎসা কীভাবে করতে হবে, তা নিয়ে একটি এসওপি তৈরি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেটা হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হবে।
শুক্রবারও নতুন করে আরও দুই শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মালদহ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। তাতে আরও উদ্বেগ বেড়েছে। এই নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় মালদহে মোট পাঁচজন শিশুর মৃত্যু হল। আজ কলকাতা থেকে পাঁচজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের একটি দল উত্তরবঙ্গে যান। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তাঁরা। শিশুদের চিকিৎসা কীভাবে হচ্ছে তার খোঁজ নেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন রাজ্যের সর্বত্র এই অজানা জ্বরে কাবু হওয়ার খবর মিলছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম বলেছিলেন, ‘এনকোয়ারি করে দেখা হয়েছে, কোথাও কোনও অজানা জ্বর হয়নি। মোটের উপর সব মরসুমি জ্বর। এই জ্বর নিয়ে কোনও আতঙ্কের কারণ নেই। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা বি এবং আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ শিশু। যারা মারা গিয়েছে, তাদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ছিল।’ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। তাই শিশু মৃত্যু কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।