কলকাতা ব্যুরো: তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু তাঁর নামে কোনও গাড়ি নেই ৷ এমনকী, নিজের নামে কোনও বাড়িও নেই ৷ ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে হলফনামায় নিজের সম্পত্তির হিসেব দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের চেয়ে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর আয় বেড়েছে বলে হলফনামায় জানিয়েছেন ৷ নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার সময় হলফনামায় ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়ের কথা জানিয়েছিলেন। আর সেই হিসেবে, চার মাস পর নতুন হলফনামায় তাঁর আয় বাড়লো ৫ লাখ টাকা ৷
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তৃণমূল প্রার্থীর আয় ছিল ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৭০ টাকা । ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৪৫ টাকা । আবার ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগের হলফনামা অনুসারে, তখন মুখ্যমন্ত্রীর আয় ছিল ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা। তবে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে মমতার সেই আয় ছিল ২০ লক্ষ ৭১ হাজার ১০ টাকা।
তবে মমতার দেওয়া পরিসংখ্যানের দাবি, এই ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরেই মমতা সবচেয়ে বেশি আয় করেছিলেন। এদিন জমা করা তথ্য অনুসারে, এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স নিম্নমুখী। এই মুহূর্তে ব্যাঙ্কে তাঁর জমা অর্থের পরিমাণ ১৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫১২ টাকা। নন্দীগ্রাম নির্বাচনের সময় তা ছিল ১৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। এর সঙ্গে নগদ হিসাবে হাতে ছিল ৬৯ হজার ২৫৫ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতার ব্যাঙ্কে ছিল ২৭ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা, যা এবারে এসে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে ৷ একইভাবে কমছে মমতার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩০ লক্ষ ৭৫ হজার টাকা কিন্তু ২০২১ সালে এসে সেই সম্পত্তির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৫২ টাকা ৭১ পয়সা। বর্তমানে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯ টাকা। ওই সম্পত্তির মধ্যেই রয়েছে ৯ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম অলঙ্কার, যা নন্দীগ্রাম নির্বাচনের তুলনায় ৫০ গ্রাম কম।
অন্যদিকে, মমতা হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর নামে কোনও ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। নেই চাষের কিংবা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের উপযোগী কোনও জমি। এমনকি পৈতৃক সূত্রেও কোনও সম্পত্তি তিনি পাননি বলে জানিয়েছেন । ব্যাঙ্ক কিংবা অন্য কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মমতার উপর কোনও ঋণের বোঝা নেই।