কলকাতা ব্যুরো : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেদিনীপুরের সভার দিকে আজ রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি আবদ্ধ ছিল। সারাদিনই মমতা মেদিনীপুরের সভা থেকে শুভেন্দুকে কী বার্তা দেন অথবা সভায় মেদিনীপুরের কোন কোন নেতা উপস্থিত থাকেন সেদিকেও নজর ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। মমতা সভা থেকে আজ চাঁচাছোলা ভাষায় নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন।

মমতা বলেন তৃণমূলকে দুর্বল করা অত সোজা নয়। যদি কেউ মনে করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেলিং করব, দর-কষাকষি করব, তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনের সময় দুর্বল করব তাহলে তারা ভুল করছেন। বিজেপি দল এবং বিজেপি দলের বন্ধু তাদেরকে বলব আগুন নিয়ে খেলবেন না। আর যাকে পারেন জব্দ করতে তৃণমূল কংগ্রেসকে পারবেন না। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে। এমনই ছিল আজ মমতার বক্তব্য অধিকারী পরিবারের গড় বলে পরিচিত মেদিনীপুরে।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেবেন এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর সেটা বুঝে নিয়েই মমতা শুভেন্দু কে আক্রমণ শুরু করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে যে ভাঙ্গন ধরেছে তা তৃণমূলের এবং রাজ্য রাজনীতির আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে স্বাভাবিকভাবেই সবার দৃষ্টি ছিল কোন কোন তৃণমূল নেতা মমতার সভায় আসছেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী আজকে মমতার সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এবং আরেক ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর এবং কথির পুরসভার প্রশাসক। এছাড়াও আজ সভায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ অনেক নেতাই অনুপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য গত কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের বেশ কয়েকজন নেতার আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু দলের পরিচালনা নিয়ে শুভেন্দুর নানান অভিযোগ ছিল। সেই সব সমস্যার সমাধান হয়নি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এখনো তার সিদ্ধান্তে অটল এবং অনর।

অবশেষে মমতার নির্দেশে শুভেন্দুর সঙ্গে সমস্ত আলাপ-আলোচনা বন্ধ করে দল। আজ সেটিকেই মমতা হাতিয়ার করে ব্ল্যাকমেল এবং দরকষাকষির কথা তুললেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version