কলকাতা ব্যুরো: সৌজন্যের নজির। করোনা আক্রান্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিরার সন্ধ্যায় করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে যথেষ্ট খুশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর ফোন যায় সুকান্তর কাছে। প্রায় আড়াই মিনিটের মতো কথা হয় দু’জনের। শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রীর। কোনও সমস্যা হলে জানাতেও বলেছেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সাবধানে থাকার পরামর্শও দেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সভাপতির হাল্কা জ্বর, কাশির সঙ্গে সর্দি লাগার মতো বেশ কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতির অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে ৷ আইসোলেশন কেবিনে রেখে চিকিৎসা চলছে বালুরঘাটের সাংসদের ৷ এই পরিস্থিতিতে সোমবার সকালেই সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতির শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তৃণমূল নেত্রী।
হাসপাতালের তরফে রবিবারই বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, সুকান্তবাবুর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীলই রয়েছে ৷ ৪২ বছর বয়সি সুকান্ত মজুমদারের কোনও রকম কো- মর্বিডিটি বা অন্য শারীরিক সমস্যা নেই বলেও আপাতত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সৌজন্যের বার্তাই দিলো।
প্রসঙ্গত, এবার করোনা আক্রান্ত অনেকের বাড়িতেই পৌঁছে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো ফলের ঝুড়ি। রাজনীতিক থেকে সাংবাদিক, অনেকেই সেই ফলের ঝুড়ি পেয়ে আপ্লুত হয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাচ্ছেনও। তবে, সুকান্ত মজুমদারের কাছে যেভাবে পৌঁছে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন, তা অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।