কলকাতা ব্যুরো: বীরভূমের মল্লারপুর থানা হেফাজতে এক নাবালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ব্যাপক গোলমাল এলাকায়। ওই নাবালককে মোবাইল চুরির অভিযোগে ২৫ অক্টোবর পুলিশ তুলে আনে বলে অভিযোগ পরিবারের। কিন্তু তাকে কোন হোমে না পাঠিয়ে থানাতেই বেআইনিভাবে রেখে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরিবারের বক্তব্য, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে।
ইতিমধ্যেই রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন বীরভূমের পুলিশ সুপারের কাছে ওই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কমিশনের একজন সদস্যকে এদিনই মল্লারপুর পাঠানো হয়েছে। তিনি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করবেন। এরইমধ্যে নাবালকের মৃত্যুতে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
শুক্রবার ভোর বেলায় মল্লারপুর থানার শৌচাগারে গলায় দড়ি দিয়ে মৃত অবস্থায় ওই নাবালককে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুপারের বক্তব্য, একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় ওই নাবালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জুভেনাইল আইনে গ্রেফতার করায় তাকে লক-আপে না রেখে ডিউটি অফিসারের ঘরেই রাখা হয়েছিল। মাঝরাতে শৌচাগারে গিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোর। যদিও পুলিশের এই বক্তব্য মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। তাদের অভিযোগ, ২৫ অক্টোবর ওই নাবালককে তুলে নিয়ে যায় মল্লারপুর থানা। তারপরে কোন হোম বা নিরাপদ জায়গায় না পাঠিয়ে তিন দিন ধরে থানাতেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
যদিও শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই নাবালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। থানায় নাবালকের জন্য যে চিলড্রেন্স কর্নার রয়েছে, সেখানেই তাকে রাখা হয়। এ দিন ভোরে শৌচাগারে গিয়ে ওই নাবালক আত্মহত্যা করে।
ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকে কয়েক হাজার লোক জড়ো হয় থানার সামনে। ওসিসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ গোলমাল চলতে থাকে। গোলমাল থামাতে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয় মল্লারপুর থানায়। এরই মধ্যে আসরে নামে স্থানীয় বিজেপি। নাবালককে থানায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগে শনিবার সকাল থেকে মল্লারপুর এলাকায় ১২ ঘন্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।