কলকাতা ব্যুরো: এত কম সময়ের মধ্যে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। এমনই কারণ দেখিয়ে কয়লাকাণ্ডে মঙ্গলবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না রাজ্যের আইনমন্ত্রী। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুটি বিকল্প দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিনই শমন পাঠিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবকে তলব করেছে ইডি।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন যে দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি অথবা কলকাতায় এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তবে সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ইডির তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, কলকাতায় এসে জিজ্ঞাসাবাদের যে প্রস্তাব দিয়েছেন মলয়, তা তৃণমূলের অবস্থান মেনেই করেছেন। গত বুধবার অভিষেককে ইডির তলব প্রসঙ্গে কথা বলার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, কলকাতায় তো ইডির অফিস আছে। কেন দিল্লিতে তলব করা হবে অভিষেকদের। সঙ্গে অভিযোগ করেছিলেন, ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তৃণমূল সরকারকে জব্দ করতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিষেককে ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারপর দু’দিনের ব্যবধানে আবার হাজিরার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে।
মমতা চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকলে তা দেখানো হোক। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন, এজেন্সি দেখিয়ে কংগ্রেস, শরদ পওয়ারকে জব্দ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু তাঁকে জব্দ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়াতেই, ৬ সেপ্টেম্বর কয়লা মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়। যদিও এত তাড়াতাড়ি কলকাতা থেকে দিল্লিতে যেতে পারবেন না বলে জানান অভিষেক। তারপর আগামী ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।