কলকাতা ব্যুরো: গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বুধবার এক আয়া ও দুই ব্যক্তিকে ডায়মন্ড হারবার থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তারপরেই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে নিয়ে গেলো হোমিসাইড শাখা।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত সুবীর চাকির পরিচিত এক মহিলা তাঁদের বাড়িতে আয়ার কাজ করতেন। মহিলার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার থানার অধীনে। সেইমতো এদিন লালবাজারের গোয়েন্দাদের দুই অফিসার ডায়মন্ড হারবার থানায় গিয়ে ওই মহিলাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারপরেই তাদের আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা একাধিক তথ্য পেয়েছেন। মূলত তিনি সুবীর চাকিকে কত দিন ধরে চিনতেন, সুবীর চাকি কী কাজ করতেন, বাইরে থেকে কে কে সুবীর চাকির সাথে দেখা করতে আসত এই সমস্ত তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি বিলাস হালদার, তপন হালদার নামের ওই দুই ব্যক্তিকেও একই জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা।

এদিন সুবীর চাকির গাড়ি চালক মৃত রবীন মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েও দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় গোয়ান্দারা। রবীন মণ্ডলের কোনও শত্রু ছিল কি না তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। লালবাজার সূত্রে খবর, পরে ফের প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। গোটা ঘটনার পর ঘটনাস্থলের কিছু সিসিটিভি ফুটেজ গোয়েন্দাদের হাতে আসলেও তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, মূলত সুবীর চাকির একাধিক সম্পত্তির উপরই লোভ ছিল আততায়ীদের। সুবীর চাকিকে যে তাঁরা হত্যা করবেন, তা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। তাই ঠান্ডা মাথায় খুন করে এলাকা ছেড়েছে খুনিরা।

ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন। লালবাজার সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এখনও অবধি ৮০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে গিয়েছে গোয়েন্দাদের। তাদের দেওয়া বয়ানও নথিভুক্ত করেছেন গোয়েন্দারা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version