কলকাতা ব্যুরো: গত সপ্তাহেই করোনা আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। ৯২ বছর বয়সি এই গায়িকার শরীরে ছিল করোনার মৃদু উপসর্গ। উপসর্গ মৃদু হলেও সেভাবে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকরা। যার জেরে তাঁকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় তাঁকে। গত বৃহস্পতিবার তাঁর ভাগ্নি রচনা শাহ জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় ভালই সাড়া দিচ্ছেন গায়িকা। সকলের প্রার্থনায় ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি। তবে শনিবারই চিকিৎসক প্রতীত সামদানি জানিয়ে দেন, এখনই হাসপাতাল থেকে মুক্তি হচ্ছে না গায়িকার। আরও বেশ কিছুদিন ভারতের কোকিল কণ্ঠীকে থাকতে হবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই।

রবিবারও সেই সংবাদে সেভাবে কোনও পরিবর্তন হল না। গায়িকার চিকিৎসক প্রতীত সামদানি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখনও উনি আইসিইউতেই রয়েছেন। ওনার চিকিৎসা চলছে অর্থাৎ আরও বেশ কয়েকদিন যে হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই থাকতে হবে তাঁকে এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে গায়িকা হিসাবে নিজের জীবন শুরু করেছিলেন লতা। ভারতের নানা ভাষায় গেয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার গান। বাংলাতেও তাঁর কণ্ঠে গানগুলি আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। একদিকে যেমন তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন পুরস্কারে, তেমনি অন্যদিকে দাদা সাহেবে ফালকে, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সমস্ত পুরস্কারই নিজের কণ্ঠ দিয়ে অর্জন করে নিয়েছেন গায়িকা।