কলকাতা ব্যুরো: পুরভোটের আগের দিনই অশান্তির আঁচ। বিধাননগর পুরএলাকার অন্তর্গত লেকটাউন থেকে উদ্ধার হল ৭mm পিস্তল, কার্তুজ, গুলি। ২ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাদের বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে। অস্ত্র আইনে দায়ের হতে পারে মামলা। এই দুষ্কৃতীদের বিস্তারিত পরিচয় খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার বিধাননগরে পুরভোট। তার আগের দিনই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আশঙ্কা বাড়ল সাধারণ ভোটারদের।

ভোটের বিধাননগর বরাবরই রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত। পঞ্চায়েত হোক বা পুরসভা, বিধানসভা – সমস্ত নির্বাচনেই বিধাননগর থেকে একাধিক অশান্তির খবর আসে। অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারও হয়। যার জেরে এবারের পুরভোটে  কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, তা আদালতের বিচারাধীন ছিল। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে ভোটের দিন। যদিও এবারও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে বিধাননগর পুরনিগম এলাকার বিভিন্ন জায়গায়।

এর মাঝেই শুক্রবার সকালে নাকা চেকিংয়ের সময়ে অস্ত্রশস্ত্র-সহ লেকটাউন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে ২ জন। তাদের থেকে ৭mm পিস্তল, কার্তুজ, গুলি উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, তারা কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা। ঠিক কী কারণে অস্ত্র নিয়ে তারা এই এলাকায় মজুত করছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।

তবে মনে করা হচ্ছে, বিধাননগরে ভোটের দিন অশান্তি পাকানোর জন্যই এই অস্ত্র আমদানি। ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত খুঁটিনাটি জামতে মরিয়া তদন্তকারীরা। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করেছে পুলিশ। বিধাননগরের প্রতিটি মোড় তো বটেই, প্রবেশ এবং বেরনোর পথে চলছে নাকা চেকিং।

শনিবার রাজ্যের আরও ৩ পুরনিগমের সঙ্গে ভোটগ্রহণ হবে বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডে। মনোনয়ন পর্ব থেকেই এখানকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে অশান্তির খবর মিলেছে। বিশেষত বিজেপিকে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। তাই বিধাননগরের পুরভোট ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে। শুক্রবার থেকেই কড়া নজরদারির চাদরে মোড়া বিধাননগর।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version