মৈনাক শর্মা

বিশ্বমঞ্চে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের পর কুলভূষণ মামলায় আংশিক জয় ভারতের। অবশেষে কুলভূষণের মামলাকে সেনা আদালত থেকে সরিয়ে জন আদালতে লড়াই চালানোর বিলে সম্মতি দায় পাকিস্থানের সরকার। যা আংশিক কূটনৈতিক জয় দিল্লির, মত বিশ্লেষকদের।

ঘটনার সারসংক্ষেপ

২০১৬ সালের মার্চ মাসে ৫১ বছর বয়সী কুলভুষণ যাদবকে ইরানের বেলুচিস্তান প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে পাক সেনা। তার বিরূদ্ধে ভারতীয় গুপ্তচরের অভিযোগ আনে পাক সেনা। তার কাছে নকল পাসপোর্ট পায় বলে দাবি করে পাকিস্থান সেনা।

২০১৭ সালের এপ্রিলে কুলভুষণকে ভারতের নাগরিক এবং তিনি ভারতীয় নৌ বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী বলে দাবি করে দিল্লি। ভারতের দাবিকে খারিজ করে সেই বছরই কুলভুষণকে ফাঁসির আদেশ দেন পাক সেনা আদালত।

কুলভুষণকে গ্রেফতার করায় এক বছর পর তার গ্রেফতারির খবর জানানো হয় দিল্লিতে। এই ভিত্তিতে ২০১৭ সালের মে মাসে আন্তজাতিক কোর্টে মামলা দায়ের করে ভারত।

বিশ্ব আদালতে বার বার হারের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। এমনকি কুলভূষণ যে ভারতীয় গুপ্তচর তা নিয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই পাকিস্থানে, এমনই দাবি করেন প্রাক্তন পাক সুরক্ষা উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ। যার ফলে ২০১৯ সালে ফাঁসির আদেশ স্থগিত করার আদেশ দেয় বিশ্ব আদালত।

বিশ্ব আদালতের রায়ের পরই কুলভুষণকে সেনা আদালত থেকে সরিয়ে জন আদালতে লড়বার এই সিদ্ধান্ত পাকিস্থানের। এইবার নিজের মৃত্যুদন্ডর বিরূদ্ধে পাকিস্থানে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন তিনি। তবে তার হয়ে ভারতীয় উকিলের মামলা লড়বার অনুমতিকে নাকচ করেছে ইমরান খান সরকার। এক্ষেত্রে পাকিস্থানের তরফে কেউ কুলভুষণের পক্ষে মামলায় দাড়ালে, তা কতটা নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে নতুন করে সমালোচনার মুখে ইমরান খানের সরকার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version