এক নজরে

কোন্নগর পুরসভার উদ্যোগে ভেষজ মিষ্টি ও তুলসী রসগোল্লার ওয়ার্কশপ বিজ্ঞানী ডঃ অভিজিৎ মিত্রের

By admin

October 18, 2020

কলকাতা ব্যুরো : পুজো আসছে। মিষ্টি আর পুজোর যোগ অঙ্গাঙ্গী। পুজোয় মিষ্টি লাগবেই। মিষ্টি মুখ ছাড়া বিজয়াও সম্ভব নয় বাঙালিদের কাছে। এই সব কথা ভেবেই ভেষজ মিষ্টির ওয়ার্কশপ করলো কোন্নগর পুরসভা। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ক্লাস নিলেন টেকনো ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড : অভিজিৎ মিত্র। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়।

তুলসী গাছ ও পাতার গুরুত্ব মানুষের জীবনে অপরিসীম। তুলসী শুধু সর্দি কাশি থেকেই মানুষকে মুক্তি দেয় না। তুলসী গাছ কার্বন ডাই অকসাইড ও শোষণ করে প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আমাদের যকৃতকে পরিষ্কার রেখে তুলসী আমাদের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে ও সাহায্য করে।

অভিজিৎ বাবু জানান সাধারণ তুলসী গাছ আগে আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই থাকতো। আজকাল অতটা দেখা যায় না। তুলসীর চাষ বাড়িতেই করা সম্ভব এবং এই গাছ বাড়িতে রাখলে তেমন পরিচর্যার ও প্রয়োজন হয় না। তুলসী তিন রকমের হয় – রাম তুলসী , কৃষ্ণ তুলসী এবং বন তুলসী। এর মধ্যে রাম তুলসী খুব সহজেই পাওয়া যায়। আর এর নির্যাস থেকে কাদা ও তুলসীর রস দুটোই কাজে লাগে তুলসী রসগোল্লা বানাতে। কি ভাবে তুলসী রসগোল্লা বানাতে হয় এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা তা কি ভাবে বাড়ায় তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেন অভিজিত বাবু।

৭০ শতাংশ ছানার সঙ্গে ৩০ শতাংশ তুলসীর কাদা নির্যাস যোগ করে কি ভাবে তুলসী রসগোল্লা তৈরি করা যায় এবং তুলসীর নির্যাসের জলীয় অংশ কি ভাবে রসগোল্লার রসের সঙ্গে মিশ্রণ করে তুলসী রসগোল্লা তৈরি হবে তার বিবরণ দেওয়া হয় এই ওয়ার্কশপে।

এছাড়াও কি ভাবে ভালো ছানা তৈরি করা যায় ও ইউ ভি লাইট ব্যবহার করে মিষ্টিকে করোণামুক্ত করে রাখা যায় তার তালিম ও দেওয়া হয় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের। কোন্নগরের প্রায় ৩০ জন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী এই ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলেন। সব ঠিকঠাক চললে ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এই পুজোতেই দোকানে আসছে তুলসী রসগোল্লা।