কলকাতা ব্যুরো: একের পর নিম্নচাপের গেরোয় বারবার ধাক্কা খাচ্ছিল শীত। ডিসেম্বরের শুরুতেও সেভাবে শীতের দেখা না মেলায় মন ভেঙেছিল শীতবিলাসীদের। তবে নিম্নচাপের ধাক্কা সামলে মাঝ ডিসেম্বরে স্বমেজাজে শীত। শুক্রবারের পর শনিবারও পারাপতন। ফের কমলো কলকাতা-সহ রাজ্যের তাপমাত্রা। চলতি মরশুমের শীতলতম দিনের সাক্ষী তিলোত্তমা। এদিকে রবিবারই কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে পুরভোট। আর এরকম অবস্থায় শীত গায়ে মেখে শেষ কবে ভোট উৎসবে মেতেছে কলকাতাবাসী? ঠিক মনে করতে পারছেন না কেউই। অন্যদিকে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। শনিবার অবকাশকালীন বেঞ্চে হতে পারে মামলার শুনানি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয়, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি এবার অন্যরকম ভোট দেখবে বাংলা। তবে কি সেই অন্য রকম ভোট? খুব শান্তিতে? নাকি আবারও বড়সড় কোনও অশান্তির ইঙ্গিত? যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাজেই আবহাওয়াবিদদের মতে, শনিবারই মরশুমের শীতলতম দিন। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। শনিবার দিনভর আকাশ পরিষ্কারই থাকবে। উঠবে রোদ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। আগামী ২ দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রাও হু হু করে কমছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া পৌষের শীতে জবুথবু তা বলাই চলে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পরিস্থিতিও প্রায় একইরকম। শীতে কাঁপছেন বাসিন্দারা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে না থাকলেও, উত্তরবঙ্গে কুয়াশার দাপট রয়েছে কিছুটা। শনিবার সকালে ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা মুখ ঢাকে কুয়াশার চাদরে। শুক্র এবং শনিবার সান্দাকফুতে তুষারপাতের সম্ভাবনা।
এদিকে, শীতের দেখা মেলার পরই পাহাড়ে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের ভিড়। করোনার ধাক্কা সামলে ফের পর্যটকদের দেখা মেলায় চাঙ্গা পর্যটন ব্যবসা। খুশি হোটেল মালিক থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রায় সকলেই। অতিরিক্ত লক্ষ্মীলাভ হওয়ায় মুখের হাসি চওড়া হয়েছে তাঁদের।