কলকাতা ব্যুরো: মাওবাদীদের অর্থ জোগানের অভিযোগ। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ’র জালে কলকাতারই এর ব্যবসায়ী। রাঁচি ইউনিটের আধিকারিকরা মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য বুধবার তাঁকে কলকাতায় এনআইএ’র বিশেষ আদালতে তোলা হবে।

এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যবসায়ীর নাম মহেশ আগরওয়াল। আধুনিক পাওয়ার নামে একটি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তিনি। অভিযোগ, মাওবাদীদের আর্থিক সাহায্য করেন ওই ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মহেশ তাঁর কলকাতায় বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় রাঁচি ইউনিটের আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় এনআইএ আধিকারিকরা। বুধবার তাঁকে এনআইএ আদালতে তোলা হবে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নেওয়ার আর্জি জানানো হবে বলে এনআইএ সূত্রে খবর।

এনআইএ’র রাঁচি ইউনিটের আধিকারিকরা মাওবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন। তদন্ত করতে গিয়ে মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে কলকাতার ব্যবসায়ীর যোগসূত্র নজরে আসে। তার জেরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। তবে কী কারণে মাওবাদীদের অর্থের জোগান দিতেন মহেশ আগরওয়াল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে আরও নানা তথ্য সামনে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে হুগলি থেকে মনোজ চৌধুরী নামে এক মাওবাদী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন বছর ধরে ওই মাওবাদী নেতাকে খুঁজছিল এনআইএ। তার সঙ্গে ব্যবসায়ী মহেশ আগরওয়ালের কোনও যোগাযোগ ছিল কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মহেশ আগরওয়াল কেন মাওবাদী সংগঠনকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছিলেন? তিনি কি কোনও চাপের মুখে পড়েছিলেন? নাকি তিনি নিজেও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত? তদন্তকারীরা তা জানতে চান।

এর আগে হুগলী থেকে এক মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। মনোজ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগও রয়েছে। গত ৩ বছর ধরে সে মাওবাদীদের তহবিল সরবরাহ করা থেকে অস্ত্র চোরাচালানও করেছে বলে অভিযোগ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version