কলকাতা ব্যুরো: দিনের বেলাতেই সন্ধ্যা নামল কলকাতায়। শনিবার শহরের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের চিত্র দেখা গিয়েছে। শহরতলিতেও বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু, আচমকা কেন এই বৃষ্টি? আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আসলে এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ রয়েছে। যা ধীরে ধীরে ভূমিভাগের দিকে এগোচ্ছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপের পরে নতুন করে আবারও একটি সাইক্লোনের সৃষ্টি হতে পারে।
যেহেতু উত্তর দিক থেকে আগত বায়ুর শক্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু বলা যায় যে আগামী ২০ নভেম্বরের পর থেকে রাজ্যে শীতের অনুপ্রবেশ ঘটবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দাবি, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকেই রাজ্যে শীতের আমেজ তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই উত্তুরে হাওয়া বইছে মহানগরীতে।
কিন্তু, শীতের প্রাক মুহূর্তে বৃষ্টি কোনওভাবে শীতের প্রভাব কমিয়ে দেবে না তো? এমন প্রশ্নই সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে জলের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। যার ফলে শীত এ বছর সক্রিয় হলেও, মাঝেমাঝে বিচ্ছেদ পড়বে অর্থাৎ গরমের চিত্র দেখা যাবে। তারপরে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হবে। বৃষ্টিপাত হবে। আবার শীত পড়বে।
তবে এবারে দীর্ঘ শীতকাল আসছে। কলকাতার মানুষ যে ঠান্ডা উপভোগ করতে চান, তা পারবেন কারণ, এ বছর জাঁকিয়ে শীত পড়বে। কিন্তু কতদিন স্থায়ী হবে শীত? আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতের আবহাওয়া থাকবে রাজ্যে।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, শনিবার থেকেই নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গে নামবে বৃষ্টি। শুধু শহর নয়, এদিন থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ রবিবারও একইরকম থাকবে আবহাওয়ার অবস্থা। আলিপুর জানিয়েছে, শনি-রবি দু’দিনই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।
আগামী ১৫ তারিখ অর্থাৎ সোমবার মূলত হালকা বৃষ্টি হবে। এই মুহূর্তে একটি নিম্নচাপ একটু ভেতর দিকে তামিলনাড়ুতে রয়েছে ফলে আমাদের রাজ্যের উপরে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে। রবিবার থেকে বাষ্পের প্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।