কলকাতা ব্যুরো: লালবাজারের দুঁদে গোয়েন্দাদের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে গড়িয়াহাট জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে কোনও আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বাড়িতে থাকছে না সে। কোথায় থাকছে, তারও কোনও সাক্ষ্য রাখছে না ভিকি। একেবারে সুকৌশলে তদন্তকারীদের চোখে ধুলে দিচ্ছে সে ৷

কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে একটি বাড়িতে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। খুন হন বাড়ির মালিক সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনে মিঠুর সঙ্গে ভিকিও জড়িত ছিল বলে পুলিশের দাবি।

কিন্তু তাঁকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কেন ভিকি এখনও অধরা পুলিশের কাছে? লালবাজার সূত্রে খবর, গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে সোমবার সকালে চারজন যুবককে আটক করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ভিকির চরিত্র সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

যাঁদের আটক করা হয়, তাঁরা মূলত ভিকির সঙ্গে কাজ করতেন। পুলিশের দাবি, তাঁদের কাছ থেকেই গোয়েন্দারা জানতে পারেন খুবই ঠান্ডা মাথার ছেলে ভিকি হালদার। চোখের পলকে অপরাধ করা বা কোনও জিনিস লুকানো, তার কাছে কোনও ব্যাপারই না।

তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, গড়িয়াহাটের ওই বাড়িতে জোড়া খুন করেও নির্লিপ্তভাবে সেই রাতে বালিগঞ্জে নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব সামলেছে সে। পরেরদিন সকাল ৮ টায় ডায়মন্ড হারবার এলাকায় শেষ দেখা গিয়েছিল ভিকিকে।

পুলিশের দাবি, মিঠু তদন্তকারীদের জানিয়েছে যে ভিকি যখন ফোন করেছিল, তখন বৃষ্টি পড়ছিল। বৃষ্টি বাড়তেই রাস্তা খালি হয়ে যায়। তখনই ভিকিদের বাড়ি থেকে বের হতে বলে মিঠু। তারপর থেকে তার খোঁজ নেই৷

তবে তদন্তে জানা গিয়েছে যে মিঠু হালদারের ঠিক করে দেওয়া তিন জনের বাইরে আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার কাঁকুলিয়া রোডে সুবীর চাকির বাড়িতে গিয়েছিল ভিকি। ফার্ন রোডের ওই কনস্ট্রাকশন সাইটে আসা অজ্ঞাত পরিচয় সন্দেহভাজন যুবকের খুনের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে কি না, ভিকি তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল কি না, সেই দিক খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version