কলকাতা ব্যুরো: করোনা মহামারী শুরুর সময় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল কলকাতা মেট্রোর অন্দরে। সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ করা হয়েছে টোকেন ব্যবস্থা। এতে প্রথমদিকে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু, সংক্রমণ এড়াতে বিষয়টি জরুরি ছিল বলেই মত ছিল বিশেষজ্ঞ মহলের। টোকেন হাতে হাতে ঘোরে। আর সেই কারনেই প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতার দরুণ ওই ব্যবস্থা জারি রাখলে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই ওই ব্যবস্থা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে সম্প্রতি মেট্রো আয়োজিত একটি বিশেষ বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে টোকেন চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কারণ, করোনা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীর পক্ষে স্মার্ট কার্ড কিনে তা রিচার্জ করিয়ে মেট্রোয় ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। যাত্রীদের একাংশের মত, বর্তমানে মেট্রোর অন্দরে টোকেন চালু করে দেওয়া দরকার। এমতাবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার্থে সরকারের তরফ থেকে মেট্রোকে ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

মেট্রো সূত্রে খবর, এর প্রত্যুত্তরে কলকাতা মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী জানান, এই মুহূর্তে টোকেন চালু করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তবে কোভিড সংকট মিটে গেলে অর্থাৎ করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে টোকেন চালুর কথা নিয়ে অবশ্যই ভাবনাচিন্তা করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে গত ১২ নভেম্বর থেকে বেড়ে গিয়েছে স্মার্ট কার্ডের -এর খরচ। স্মার্ট কার্ড কিনতে গেলে কমপক্ষে ১২০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আগে একটি স্মার্ট কার্ডের জন্য লাগত নূন্যতম ১০০ টাকা। অবশ্য স্মার্ট কার্ড ফেরত দিলে যে টাকা মেলে, সেই রকমটিও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে স্মার্ট কার্ড ফেরত দিতে গেলে ৬০ টাকা পাওয়া যেত। বর্তমানে স্মার্ট কার্ড ফেরত দিলে পাওয়া যাবে ৮০ টাকা। এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো। রবিবার থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকরী হয়েছে বলেই খবর।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে কলকাতা মেট্রো রেলের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল করোনার কারণে। টানা ১৭৫ দিন পরিষেবা বন্ধ রাখার পর ১৪ সেপ্টেম্বর ফের গড়িয়েছিল মেট্রোর চাকা। তবে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে টোকেনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়।

যাত্রীরা যাতায়াতের জন্য স্মার্ট কার্ড কিনতে বাধ্য হন। তবে পাঁচ কিংবা ১০ টাকার টোকেন কিনে মেট্রোয় যাতায়াত করা যেত এর আগে। মেট্রোতে স্মার্ট কার্ড বাধ্যতামূলক হওয়ায় এক ধাক্কায় খরচ অনেকটা বেড়ে যায়।