কলকাতা ব্যুরো: কাজ শেষ হলেও ছোট রুটে আর তড়িঘড়ি মেট্রো চালু করতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ। নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট প্রকল্পে প্রথম ধাপে কবি সুভাষ থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো চালুর পরিকল্পনা ছিল। তবে সে সম্ভাবনা খুবই কম। বদলে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত কাজ শেষ করে অনেকখানি পথে ট্রেন চলাচল শুরু করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।
কাজের গতি যদি ঠিক থাকে সেক্ষেত্রে আগামী বছরের ডিসেম্বরে এই অংশে ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীসংখ্যা বেশ ভালই হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ কারণ, সেক্টর ফাইভে এসে জুড়বে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও।

মেট্রো সূত্রে খবর, তড়িঘড়ি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর একটা অংশের পরিষেবা চালু করে দেখা গিয়েছে, তাতে যাত্রী হচ্ছে না। প্রথমে চালু হয়েছিল সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত। তারপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফুলবাগান পর্যন্ত পরিষেবা শুরু হয়। কিন্তু তাতেও দেখা গিয়েছে, এই ছোট্ট অংশের পরিষেবায় মেট্রোয় যাত্রীসংখ্যা খুবই কম। তেমন কোনও আয়ই হচ্ছে না কর্তৃপক্ষের। সে কারণেই বছর দুয়েক ধরে হাতে গোনা যাত্রী নিয়ে ছুটছে ট্রেন। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় মেট্রো রেলের কর্তারা।

নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট প্রকল্পের ক্ষেত্রে সেই দশা যাতে না হয়, তাই ছোট অংশে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা প্রথমে করলেও তা সম্ভবত বাতিল হচ্ছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ মনে করেছিল, আগামী বছরের মাঝামাঝি নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত ট্রেন চালু করা হবে। ইতিমধ্যেই লাইন পাতার কাজও হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। কিন্তু কাজ শেষ হলেও ট্রেন এখনই চলবে না বলে খবর। সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পুরো অংশে কাজ শেষের পরই চলবে মেট্রো। সেক্ষেত্রে সেক্টর ফাইভ থেকে ট্রেন ছেড়ে বাইপাসের উপর দিয়ে যাবে।

মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের মতে, অনেকটা পথ গেলে যাত্রীও হবে প্রচুর কারণ, উলটোদিকে চলতি বছরেই শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালুর কথা। আর আগামী বছরের শেষে হাওড়া ময়দান থেকেই শুরু হতে পারে পরিষেবা। সেক্ষেত্রে ইস্ট-ওয়েস্ট, নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্টের একাংশ এবং উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো প্রান্তিক স্টেশনে মিশে যাবে। যাত্রীদেরও সুবিধা হবে। মেট্রোরও আয় বাড়বে। সেক্টর ফাইভ হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের কর্মস্থল। তাঁরা যাতায়াতের জন্য সেক্ষেত্রে মেট্রোই ব্যবহার করবেন।