কলকাতা ব্যুরো: আইনজীবী স্বামী রজত দে-কে খুনে আজ আদালত তার স্ত্রী অনিন্দিতার সাজা ঘোষণা করবে।
সোমবারই বারাসাত আদালত অনিন্দিতা পালকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। রজতের খুনে এই মামলাই প্রথম প্রযুক্তি সংক্রান্ত নথি, তথ্য প্রমাণ হিসেবে ধরে নিয়ে বিচার করেছে আদালত।
যেভাবে ঠান্ডা মাথায় স্বামীকে মোবাইলের চার্জার গলায় পেচিয়ে অনিন্দিতা তাকে খুন করেছে তা আবার নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা নাগরিক সমাজকেই। একজন শিক্ষিত মহিলা যিনি নিজেও আইনজীবী, তিনি কতটা নৃশংস হলে স্বামীকে কিভাবে খুন করা যায় তা বাছাই করেছেন গুগল সার্চ করে, এই আলোচনাই এখন ঘুরে ফিরে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন পুরুষ অধিকার রক্ষায় যেসব সংগঠন রয়েছে তারাও চাইছে কঠোর থেকে কঠোর সাজা হোক অনিন্দিতার।


২০১৮ সালের নভেম্বরের শেষে রজতের মৃত্যুর পরেই তার বাবা অভিযোগ করেছিলেন অনিন্দিতার বিরুদ্ধে। সে সময় থেকেই ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বিভিন্ন সংগঠন। অভিযান ওয়েলফেয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট তার অন্যতম। সেই সংগঠনের উদ্যোগে মানিকতলা বাসস্ট্যান্ডে, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে রজতের মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে কখনো অবস্থান বিক্ষোভ, হয়েছে কখনো হয়েছে মোমবাতি মিছিল। আর তারপর তিন বছরের মাথায় সেই খুনের ঘটনায় অনিন্দিতা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে সেটা পরিবারের জন্য সুবিচারের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে ওই সংগঠনটিও। সংগঠনের তরফে স্মিতা রায় দাস বলেন, ‘একজন মেয়ে হয়েও খুনি অনিন্দিতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যাতে আর কোন অনিন্দিতা, কোন রজতকে হত্যা করার আগে হাজারবার ভাবে। মেয়েরা মায়ের জাত, এই অজুহাতে অনিন্দিতার মত মেয়েদের সমাজ যেন ক্ষমা না করে।’ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন আরো বিভিন্ন সংগঠন ও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version