কলকাতা ব্যুরো: দূর্গাপূজার পর কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো রাস্তায় ভির নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কিন্তু ছট পূজার ক্ষেত্রে মানুষের ভিড় এড়াতে রাজ্যের কি পরিকল্পনা তা জানতে চেয়েছিল আদালত যদিও রাজ্য জানিয়ে দিল এত মানুষকে আটকানোর কোন মেকানিজম তাদের হাতে নেই বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ অসন্তুষ্ট রাজ্যের এই মনে হবে আদালতের বক্তব্য, ” ছটপূজা নিয়ে রাজ্যের কোনো পরিকল্পনা নেই। দুর্গাপূজা , কালীপূজা ও জগদ্ধাত্রী পূজায় শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই ছটপূজায় এই ধরণের শোভাযাত্রা করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। ‘
বুধবার থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে। নতুন একটি মামলা দায়ের করে আবেদন করা হয়েছিল, যাতে পুজোর দিন গুলিতে যেসব জায়গায় কালী বা জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ হয়, সেই সব স্টেশনে ট্রেন না দাঁড় করাতে আবেদন করা হয়। আদালত সরাসরি প্রথমে এই মামলা গ্রহণ করতে চায়নি। আদালতের বক্তব্য, বিষয়টা রাজ্যের ভাবনার মধ্যেই থাকা উচিত। যদিও তার পরেও হাইকোর্টের মৌখিক পর্যবেক্ষণ, ‘কালী পূজার দিন ট্রেন সম্পূর্ন বন্ধ রাখলে এবং জগদ্ধাত্রী পূজায় চন্দননগরগামী ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করলে ভালো হয়।’
যদিও রাজ্যের তরফে এ ব্যাপারে কোন সদর্থক উত্তর দেওয়া হয়নি। আদালত নিজে থেকে লিখিতভাবে কোনো নির্দেশ এখনো জারি করেনি। ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনাল সোমবার তার রায়ে বাজি নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে এই নির্দেশ জারি থাকবে। তবে যেসব জায়গায় দূষণের মাত্রা কম বা দূষণ নেই, সেসব জায়গায় আতশবাজি দু ঘন্টার জন্য জ্বালানোর অনুমতি দিতে পারে বলে রাজ্যকে এই নির্দেশ দিয়েছে এন জি টি। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট করোনা আবহে এ রাজ্যে বাজির সব রকম ব্যবহার নিষিদ্ধ করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাকে স্বাগত জানিয়েচে এন জি টি।
এদিন এরাজ্য দু’ঘণ্টা বাজি জ্বালানোর ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার জন্য মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয় হাইকোর্টের কাছে। কিন্তু আদালত তাতে প্রাথমিকভাবে কোন আমল দিতে চাইনি। যদিও শেষ পর্যন্ত মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে আদালতের বক্তব্য, ‘বাজি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করলে নজরদারি আরো ভালো হবে’ প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালো হাইকোর্ট।
ছট পুজো নিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের কোনো পরিকল্পনা না থাকায় বারংবার আদালত তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায়, এদিন সকালে শুনানিতে কিছুটা সময় চায় রাজ্য। বেলা সাড়ে তিনটায় ফের এই মামলার শুনানি হবে। রাজ্যের থেকে জানানো হয়েছিল, মানুষকে ঘরে বন্ধ করে রাখার কোনো সূত্র নেই সরকারের হাতে। ছটপুজোর দিন কোন পরিবার থেকে কজন লোক বেরোবে সেটা ঠিক করে দেওয়া রাজ্যের পক্ষে অসুবিধার —আদালতে বলেন এডভোকেট জেনারেল।