কলকাতা ব্যুরো: সস্ত্রীক ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ৷ রবিবার সকাল ১১টার পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি যান আয়কর ভবনে। সেখানেই সস্ত্রীক ভোট দেন রাজ্যপাল ৷ এদিন ভোট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জগদীপ ধনখড় বলেন, আমি কমিশনের নির্দেশ মেনেছি ৷ বুথের ভিতর নিরাপত্তা কর্মীদের যেতে বারণ করেছি।
এদিকে সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্যেই শুরু হয় পুরভোট। বেলা যত গড়াতে থাকে ততই বাড়তে থাকে গোলমালের বহর ৷ একাধিক ওয়ার্ড থেকে বোমাবাজি, বুথ দখল, বিরোধী দলের এজেন্টদের মারধর, সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া, ছাপ্পা ভোটের বিস্তর অভিযোগ আসতে থাকে। কোথাও কোথাও বিরোধী প্রার্থীরা শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পথ অবরোধেও বসে পড়েন। বাঘাযতীন মড়েই সেই ছবি ধরা পড়ে। পাশাপাশি এদিন সকালেই শিয়ালদহের টাকি স্কুলের কাছে বুথের সামনে বোমা ফেটে পা হারান এক ব্যক্তি। জখম হন আরও দু’জন। বোমাবাজি হয় বেলেঘাটায় খান্না স্কুলের কাছেও ৷
এদিন এসব নিয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভোট ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ৷ ভোটারদের মনে যাতে কোনওরকম ভয়ের সঞ্চার না হয় তা দেখা জরুরি ৷ এই কারণে আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে দু’বার ডেকে পাঠিয়েছিলাম ৷ ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, ভোটপর্ব যাতে শান্তিতে হয় সে জন্য তাঁকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম ৷ দীর্ঘ সময় ধরে দেখা গিয়েছে এগুলোর অভাব ভোটারদের মনে ভয়-ভীতি তৈরি করেছে৷’ তিনি সকলের কাছে আইন মেনে কাজ করার আর্জি জানান ৷