এক নজরে

KMC Election: দিনভর দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠলো ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড

By admin

December 19, 2021

কলকাতা ব্যুরো: তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হলো ব্রেবোর্ন রোড। রবিবার ভোট চলাকালীন জৈন স্কুলের বুথে ঢুকে কার্যত মেরে বের করে দেওয়া হল এজেন্টকে। ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস এজেন্ট। বুথের মধ্যেই তাহাতি-মারধরের অভিযোগ ওঠে এদিন। পুলিশের সামনে মারধর-ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস এজেন্টকে ফেরে কিল, চড়, লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

ভোট চলাকালীন বুথের ভিতরে অশান্তি। বুথের বাইরে অশান্তি। বুথের মধ্যে কংগ্রেসের এজেন্টকে ফেলে মার। বুথের বাইরে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগে তুলকালাম। কলকাতা পুরসভা ভোটে অশান্তির কেন্দ্র হয়ে উঠল ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড। ভোটের বয়স তখন দেড়ঘণ্টাও হয়নি। বিবাদী বাগে টি বোর্ডের সামনে আচমকাই হুলুস্থূল পড়ে যায়! কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে তুলকালাম। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গা-জোয়ারি, বুথে ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ তোলে কংগ্রেস।

কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক জানিয়েছেন, এখানে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট করাচ্ছে, ৪ জনকে আমরা ধরেছি, পুলিশকে বলেছি অ্যারেস্ট করুন। বুথের সামনেই ২ জনকে ঘিরে ফেলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই অবশ্য দু’জন চম্পট দেন।

উত্তাপের আবহেই ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শক্তিপ্রতাপ সিংহ। তিনিও পাল্টা কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ তোলেন। ফের শুরু হয় তর্কাতর্কি মাঝ রাস্তায় ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে।

কিছুক্ষণ পরই ফের উত্তেজনা ছড়ায়। এবার ভোট প্রক্রিয়ায় দেরি করার অভিযোগে অশান্তি বাধে। রাজভবনের উল্টোদিকের এজি বেঙ্গলের বুথে। এই নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে কংগ্রেস এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তীর তুমুল তর্কাতর্কি বাধে। কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। 

আরেকটু বেলা গড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্রেবোর্ন রোডে জৈন স্কুলের বুথ। সেখানে পুলিশের সামনেই কংগ্রেস প্রার্থীর ইলেকশন এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ কংগ্রেস কর্মীকে ফেলে মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন বাইরে থেকে একদল লোক সটান ঢুকে যায় বুথের মধ্যে। কংগ্রেসের বুথ এজেন্টকে মেরে বাইরে বের করে দেয়। দিনভর দফায় দফায় তেতে উঠলো কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড।