কলকাতা ব্যুরো- এবার বিহারের পূর্ব চম্পারণে ১২ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর তাঁকে খুন এবং পরিবারের অনুপস্থিতিতে দেহ সৎকার করার অভিযোগ উঠেছে চার ধর্ষকের বিরুদ্ধে। ওই নাবালিকার মৃত্যুর পরে একটি অডিও এবং একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।অডিও ক্লিপে স্থানীয় থানার হাউজ স্টেশন অফিসারকে নাবালিকার দেহ রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে প্রমাণ লোপাটের জন্য। ভিডিও ক্লিপে নাবালিকার দেহ সৎকার করতে দেখা গিয়েছে চার ধর্ষকে। ঘটনার সূত্রপাত ২১ জানুয়ারি। সেদিন নাবালিকা রাতে একা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। সেইসময় চার ধর্ষক ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই নাবালিকা নেপালের বারবারদিয়ার বাসিন্দা। তার বাবা পাহারাদারের কাজ করেন বিহারের পূর্ব চম্পারণের বাজারে। সেই সূত্রেই বাবার কাছে থাকত ওই নাবালিকা। নাবালিকার মা নেপালেই থাকেন। ধর্ষকরা নাবালিকার বাবাকেও হুমকি দেয় ঘটনার কথা পুলিশকে না জানানোর জন্য। ফলে তিনিও ভয়ে পুলিশের কাছে যাননি। সেই সুবাদে এত বড় ঘটনা ঘটার পড়েও এলাকায় নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ধর্ষকরা।
পুলিশ মাধ্যম জানা গিয়েছে, ঘটনার কথা প্রথম জানতে পারা যায়, যখন কুন্দয়া থানার হাউজ স্টেশন অফিসার সঞ্জীব রঞ্জনের ভয়েজ ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার দেহ পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে স্পষ্টভাবে। স্থানীয় নেতা রমেশ শাহকে সঞ্জীব রঞ্জন বলছিলেন, “কিশোরীর পরিবার পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে দেহ সৎকার করে ফেলতে।” এরপরেই নাবালিকার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছেন, নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই চার ধর্ষকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন-সহ পকসো ধারায় মামলা জারি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত জাউজ স্টেশন অফিসার সঞ্জীব রঞ্জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে দেহ মেডিক্যাল পরীক্ষার আগে দাহ করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য।