কলকাতা ব্যুরো: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বলির পাঁঠা করছে সরকার। আমাদের রাজনীতির অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তুলে এবার রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটালেন উপত্যকায় নিহত কাশ্মীরি পণ্ডিতের স্ত্রী। মোদী-শাহর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, সাহস থাকলে নিরাপত্তা ছাড়া কাশ্মীরে ঘুরে দেখান।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বদগাওয়ের অফিসে ঢুকে রাহুল ভাট নামের এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল থেকে রীতিমতো উত্তপ্ত উপত্যকা। শুক্রবার সকালে মৃতদেহ জম্মুর দুর্গানগরের বাড়িতে পৌঁছান মাত্রই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। তাঁদের দাবি প্রশাসনের উদাসীনতার উপত্যকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়ে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, রাহুল ভাটের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়।
বস্তুত, রাহুলের মৃত্যুতে গোটা কাশ্মীর পণ্ডিত সমাজ এককাট্টা। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তাঁরা। খোদ মৃত রাহুল ভাটের স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের বলির পাঁঠা করছেন। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওরা রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। আমি ওঁদের চ্যালেঞ্জ করছি সাহস থাকলে কাশ্মীরে এসে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ঘুরে দেখান। এখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে আর গোটা দেশ নীরব। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখে এক কথা বলেন, আর কাজে আরেকরকম করেন।”
উল্লেখ্য, গত আট মাসে ধরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। এটি যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। গত অক্টোবরে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নামক ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এই ধরনের হামলা বাড়তে শুরু করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে।