কলকাতা ব্যুরো: লস্কর-ই-তৈবার দুই শীর্ষ কম্যান্ডোকে খতম করল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ, এমনটাই জানিয়েছেন এক উচ্চপদাধিকারিক৷ সোমবার আলুচি বাগ অঞ্চলে একটি অপারেশনে “দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স”-এর প্রধান মহম্মদ আব্বাস শেখ এবং তাঁর সহকারী সাকিব মঞ্জুর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়৷ এরা দু’জনই উপত্যকায় একাধিক খুন-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল ৷ আর তরুণদের জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করত ৷ ২০০৬ সালে মহম্মদ আব্বাস শেখের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ তখন থেকে আব্বাসের সন্ধানে ছিল পুলিশ ৷ উপত্যকায় সবচেয়ে দীর্ঘজীবী জঙ্গি ছিল এই আব্বাস ৷
কাশ্মীর জোন-এর আইজি বিজয় কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ওরা কোথায় রয়েছে, আমাদের কাছে সে খবর এসেছিল ৷ ১০ জন জওয়ান সাধারণ পোশাকে ওই অঞ্চলটি ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের চ্যালেঞ্জ জানায়৷ জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে দু’পক্ষের মধ্যে গুলিগোলা শুরু হয় ৷ এতে দু’জন মারা যায় ৷ নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে এটা একটা বিরাট সাফল্য বলে মনে করছেন তিনি ৷ এই জঙ্গিদের নিয়ে স্থানীয়রা আতঙ্কে ছিল ৷
আব্বাস শেখ এর আগে হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে থাকলেও বিগত দু’বছর ধরে টিআরএফ-এর দায়িত্ব সামলাচ্ছিল ৷ গত একবছরে উপত্যকায় চলতে থাকা হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগের মাস্টারমাইন্ড ছিল আব্বাস ৷ অন্যদিকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করতে করতেই গতবছর টিআরএফ-এ যোগ দেয় সাকিব মঞ্জুর ৷ শেখের নির্দেশে শ্রীনগরে বেশ কিছু খুন করে সাফল্য পাওয়ায় খুব দ্রুত সে দলের শীর্ষে পৌঁছে যায় ৷
এই বিষয়ে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী দু’জনেই বহু সংখ্যক রাজনৈতিক কর্মী, পুলিশকর্মী আর নাগরিকদের খুনে জড়িত ছিল ৷ গত বছর আইনজীবী বাবর কাদরিকে খুন করেছিল সাকিব ৷ এছাড়া নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গ্রেনেড আক্রমণ-সহ বহু অপরাধের সঙ্গে যোগ ছিল এদের ৷ মঞ্জুর একাই হাফ-ডজনেরও বেশি খুন করেছে ৷ এই জেলা থেকে ৭ জন তরুণকে জঙ্গি গোষ্ঠীতে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের মধ্যে ৪ জনকে ইতিমধ্যেই খতম করা হয়েছে ৷
তিনি বলেন, আব্বাস শেখ একজন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি ছিল৷ দু’বার তাকে গ্রেফতার করে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ পরে সে এলইটি বা তথাকথিত টিআরএফ-এর প্রধান হয়ে যায়৷ এছাড়া মাদক পাচারের সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে৷